ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন রস টেলর। শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সময় তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় বাংলাদেশ দল। এক ইনিংস বাকি থাকতে কেন ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়েছিল তার কারণ
ব্যাখ্যা করেছেন মুমিনুল হক।হ্যাগলি ওভালেই বিদায় জানাবেন সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে তা আগে থেকেই জানিয়েছিলেন। প্রথম টেস্টে জ্বলে উঠতে না পারলেও হ্যাগলি ওভালে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সময় মাঠে উপস্থিত
সকল দর্শক, সতীর্থদের করতালির মধ্যে দিয়ে ব্যাট করতে নামেন টেলর। কে জানত সেটিই হবে তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংস।দর্শক ও সতীর্থদের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে নামার সময় তাঁকে ‘গার্ড অব অনার’ দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে
বাংলাদেশ। যে কারণে ক্রিকেট বিশ্বের প্রশংসাও কুঁড়িয়েছে টাইগাররা।সাধারণত এই সম্মাননা শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সময় দেওয়ার রীতি থাকলেও বাংলাদেশ এক ইনিংস বাকি থাকতেই এই সম্মাননা দেয়। তা কেনো দিলেন সেটির কারণ ব্যাখ্যা
করলেন মুমিনুল।“আমরা জানতাম, শেষ দুই দিন বৃষ্টি হবে এবং এটাই টেলরের শেষ টেস্ট। তাই আমরা তার ক্যারিয়ারের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য প্রথম ইনিংসে গার্ড অব অনার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের একজন কিংবদন্তিকে
এভাবে সম্মান জানাতে পেরে দলের সবাই খুশি।”তিন ফরম্যাট মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের চার নম্বর পজিশনে সর্বোচ্চ রান টেলরের। ৪৬.৮০ গড়ে ১৫ হাজার ৫৮৭ রান করেছেন তিনি।অভিষেকের পর থেকে নিঃসন্দেহে নিউজিল্যান্ডের সেরা যোদ্ধা
টেলর। ক্রিকেট ভক্তরা যেমন মিস করবেন তার ব্যাটিং ঠিক তেমনি মিস করবেন মুমিনুলও। সংবাদ সম্মলনে তাঁর ক্যারিয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুমিনুল।“আমি যখন বড় হয়ে উঠেছি, তখন থেকেই তার খেলা দেখি। তিনি নিউজিল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট খেলছে। আমার মনে হয়, তিনি নিউজিল্যান্ডের একজন কিংবদন্তি। তিনি ছিলেন
নিউজিল্যান্ডের জন্য অসাধারণ এক খেলোয়াড়।যেখানে থেকে ক্যারিয়ার শেষ হলো, এটা ছিল দুর্দান্ত। আমার মনে হয়, তাকে আমরা সবাই মিস করব, বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। ধন্যবাদ, ধন্যবাদ রস, সুন্দর ক্যারিয়ারের জন্য। জীবনের বাকি সময়ের জন্য শুভ কামনা।”বাংলাদেশের দেওয়া সম্মাননা কখনোই ভুলবেন না জানিয়েছেন টেলর। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইন্সটাগ্রামে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এমনটা জানিয়েছেন তিনি।