আলমের খান:২০২১ বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতে, দুবাইর বিমান ধরেছিল টাইগাররা।সেই দিন থেকে আজ অব্দি খারাপ সময়ে পার করছে দেশের টি টোয়েন্টি দল। ২০২১ বিশ্বকাপের আগে






সবার মুখে মুখেই একটি কথা শোনা যাচ্ছিল, যে বাংলাদেশ বেশ ভাল টি-টোয়েন্টি দল এবং এই দল সেমিফাইনাল খেলবেই। প্রত্যেকটি ক্রিকেটারই প্রেস কনফারেন্সে বড় বড় কথা বলে যাচ্ছিলেন। সবার মুখে একটি কথা আমরা টি-টোয়েন্টিতে অনেক






ভালো দল এবং সেমিফাইনালে নিচে কোনো কিছুতেই সন্তুষ্ট থাকবো না। নিঃসন্দেহে বড় চিন্তাভাবনা করা অনেক বেশি সাহসিকতার একটি কাজ। বড় চিন্তা না করতে পারলে কোনো দলের পক্ষেই ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। তবে নিজেদের






শক্তিমত্তার উন্নতি না ঘটিয়েই শুধু কথার খেলা খেললেই কি ভালো দল হওয়া যায়? ভঙ্গুর এক ধরনের উইকেটে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডকে পরাস্ত করে ঠিক কত দিন বাহাদুরি করা যাবে? এসব প্রশ্ন নিয়ে তখন কেউ চিন্তা করেনি।তখন কেউই চিন্তা






করেনি টি টোয়েন্টির মৌলিক বিষয়বস্তুই ঠিক নেই বাংলাদেশ দলে। টি-টোয়েন্টি বোলারদের নয় ব্যাটসম্যানদের খেলা, ফলে দ্রুত স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করাই এখানে সাফল্যের চাবিকাঠি। তবে এসব বিষয় নিয়ে তখন কেউ মাথা ঘামায়নি। ফলাফল তো
সবার চোখের সামনে। দেশের গণ্ডি পার করার সাথে সাথেই ক্রিকেটাররা নিজেদের অসহায় অনুভব করা শুরু করেন। অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডকে হারানো দলটি স্কটল্যান্ড এর সাথেও পেরে উঠে না। পরবর্তীতে বিশ্বকাপের মূল পর্বে একটি
ম্যাচেও জিততে পারেননি টাইগাররা।অবস্থা এমন দাঁড়ায় বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হতে হয় টাইগারদের। তবে বিগত ভুল থেকে এবার শিক্ষা নিয়েছে বোর্ড এবং ক্রিকেটাররা। তারা ধরতে পেরেছেন প্রত্যাশার
পারদ যত নিচে থাকবে পারফর্ম করা ঠিক ততটাই সহজ হবে। প্রেস কনফারেন্সে বড় বড় কথা না বলে মাঠে নিজের কাজটা করলেই সাফল্য ধরা দিবে। ২০২২ বিশ্বকাপের আগে সেই একই ক্রিকেটেররাই বলছেন, আমরা ভালো করার চেষ্টা করবো।
তবে খুব বেশি প্রত্যাশা না রাখাটাই শ্রেয় হবে। তারা বলে চলছেন আমাদের হাতে কিছু সময় রয়েছে এই সময়ের মধ্যে বিগত দিনগুলোর পারফরমেন্সের চেয়ে যত উন্নতি করব সেটাই আমাদের কাজে দিবে। সব মিলিয়ে কোনো নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্যের কথা বলছেন না কেউ। যা অনেক বড় বড় দলই করে থাকেন, সিরিজ শুরুর আগে সামনের দলটিকে ফেভারিট বলে
নিজের উপর থেকে চাপটুকু কমিয়ে নেন। বিগত বছর ঠিক এই জায়গাটিতেই ভুল করে বসেছিল টিম বাংলাদেশ। নিজেদের নিজেরাই ভালো দল বলে দাবি করছিল। সময়ের পালা বদলে মুখের কথা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে সবাই। তাহলে মাঠে কি এবার একটু ভালো কিছু আশা করা যায় না?