আইপিএলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপের মুখে বাবর আজম

দিন দিন এগিয়ে আসছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের ষোড়শ আসর। সেই ২০০৮ সালে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআই-এর তত্ত্বাবধানে পথচলা শুরু করেছিলো ভারতের সব থেকে বড় ঘরোয়া আসর আইপিএল। এরপর গড়

দেড় দশকে অয়ার হয়ে গেছে ভারতের এই ঘরোয়া আসরের পথ চলা।বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসে টি-২০ ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে এই জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট। পাশাপাশি ক্রিকেট এবং ভাক্তদের বিনোদনের মাঝের

ব্যবধান ঘুচিয়ে খেলাকে আট থেকে আশি সকলের কাছের করে তুলেছে এই ঘরোয়া লিগ। সেই কারণেই পনেরো বছর পেরিয়েও জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়ে নি আইপিএলের।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলের দেখানো পথে হেঁটেই কবাডি,

ভলিবলের মত খেলাতেও চালু হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ। শুধু ক্রিকেটে নয় ফুটবলে এসেছে ইন্ডিয়ান সুপার লীগ বা আইএসএল। জনপ্রিয়তাও পেয়েছে সেই ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলি।ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর এই আপিএলের ধাঁচে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে

ক্রিকেট প্রতিযোগিতাও। যে স্বপ্ন বিশ্বকে দেখিয়েছিলো বিসিসিআই, আজ অস্ট্রেলিয়ার বিবিএল, ইংল্যান্ডের ‘দ্য হান্ড্রেড,’ বাংলাদেশের বিপিএল বা পাকিস্তানের পিএসএল তারই ফসল। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের প্রসারে আইপিএলের ভূমিকা যে

সবার ওপরে তা মেনে নেন অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ’ই। ক্রিকেটের মানে, গ্ল্যামারের চাকচিক্যে আইপিএলের ধারেপাশেও যে যেতে পারে নি বাকি লীগগুলি, তা একবাক্যে মানে ক্রিকেট বিশ্ব।
ব্যতিক্রম একমাত্র পাকিস্তান। দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের

কারণে আইপিএলে খেলার সুযোগ পান না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। সুযোগ পেলেই সমালোচনা করতে শোনা যায় পাকিস্তানের ক্রিকেটার, ক্রিকেটবিশেষজ্ঞদের। এবার আইপিএলের সমালোচকদের তালিকায় নিজের নাম জুড়লেন পাক

অধিনায়ক বাবর আজম’ও। যদিও বাবরের মতামতকে হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন নেটনাগরিকেরা।গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখন চলছে বিভিন্ন টি-২০ লীগ। ক্রিকেটের প্রসারে বড় ভূমিকা রাখছে কুড়ি-বিশের ফর্ম্যাট। অনেক ক্ষেত্রেই খেলাকে

এইভাবে সার্বজনীন করে তোলার কৃতিত্ব আইপিএলকেই দেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কেবল ব্যাট-বলের লড়াই ছাপিয়ে ক্রিকেট যে বিনোদনের সম্পূর্ণ প্যাকেজ হয়ে উঠতে পারে তার ধারণা আইপিএল শুরুর আগে

ছিলোই না বিশ্বের। ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগের ক্ষেত্রে বেঞ্চমার্ক হিসেবে ধরা হয় ভারতের প্রতিযোগিতাকেই। আজ বিশ্বের নানা প্রান্তে যখনই কোনো নতুন লীগ চালু হয়, নিঃসন্দেহে তুলনা হয় আইপিএলের সাথে।

দিনকয়েক আগে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক ও প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেও সাংবাদিকররা তাঁর কাছে জানতে চান বাংলাদেশের বিপিএল কোন কোন জায়গায় এখনও পিছিয়ে আইপিএলের

থেকে। ব্যাখ্যাও দেন সৌরভ। বলেন আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু সকলের ঊর্দ্ধে। তা ছুঁতে এখনও অনেকটা পথ যেতে হবে বাকি টি-২০ লীগগুলিকে। উপস্থিত বাংলাদেশী ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব’রাও মেনে নেন মহারাজের বক্তব্য।

গোটা বিশ্ব আইপিএলকে এগিয়ে রাখলেও তা মানতে রাজী নয় কেবল পাকিস্তান। নিজেদের দেশের পিএসএল-কে হামেশায় আইপিএলে থেকে এগিয়ে রাখতে দেখা যায় সেই দেশের ক্রিকেট জগতের লোকজনদের। সোশ্যাল মিডিয়াতেও

এই নিয়েও নিত্যদিন বিবাদ চলতে থাকে। এবার আইপিএলের বিপক্ষে মুখ খুললেন অধিনায়ক বাবর আজম’ও। এমনিতেপাক দলের হতশ্রী পারফর্ম্যান্স, এমএমএস বিতর্কে খবরের শিরোনামে রয়েছেন বাবর, এবার ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ

নিয়ে মুখ খুলেও সমাজমাধ্যমের রোষানলে তিনি। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ নাকি ভারতের আইপিএল, এগিয়ে রাখবেন কাকে? উত্তরে বিগ ব্যাশের নাম করেন বাবর। সুযোগ না পাওয়াতেই আইপিএল-এর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন বাবর, সমস্বরে এমনটাই বলছে সোশ্যাল মিডিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *