বিশেষ করে টি-২০ ফর্মেটে নিখুঁত সমীকরণ কষে শেষ দিকে দ্রুত রান তোলে দলের পুঁজি বাড়াতে ফিনিশাররা সবসময়ই বড় ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটে ফিনিশারের দায়িত্বটা






মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাঁধে থাকলেও মেটাতে পারেননি প্রত্যাশা। অভিজ্ঞতায় ভরপুর হলেও ছয়-সাত নম্বরে ব্যাটিং করা ফিনিশার রিয়াদের পারফরম্যান্স আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে বড্ড






বেমানান। সেটার খানিকটা আঁচ পাওয়া গেল খালেদ মাহমুদ সুজনের কথাও। বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর জানালেন, রিয়াদের কাছে তারা যেটা প্রত্যাশা করেন সেটা পাচ্ছেন না। ১৫ বছরের টি-টোয়েন্টি






ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের হয়ে ১২০ ম্যাচ খেলেছেন রিয়াদ। ২৩.৫৩ গড়ে বাংলাদেশের সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের রান ২ হাজার ৯৫। তবে রিয়াদ যে পজিশনে ব্যাটিং করেন সেখানে গড়ের চেয়ে






স্ট্রাইক রেটটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেখানেও বিবর্ণ তিনি। ফিনিশার হিসেবে খেলা রিয়াদ রান তুলেছেন ১১৭.২৩ স্ট্রাইক রেটে। বয়স যত বেড়েছে বড় শট খেলার প্রবণতা ততই কমেছে রিয়াদের। সর্বশেষ






টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৬ টি-টোয়েন্টিতে ১৮.৪ গড়ে ২৬১ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। স্ট্রাইক রেট ১০১.৫৫। এই পরিসংখ্যান আধুনিক সময়ের ফিনিশারের






সঙ্গে বড্ড বেমানান। বর্তমানে দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও মাহমুদউল্লাহর অবদান অস্বীকার করছেন না সুজন। মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় সুজন বলেন, ‘একটা ছেলে এত






বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সার্ভিস দিচ্ছে। সারা জীবন কেউ থাকবে না, এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে তাদের সার্ভিসকে আমরা সবসময় মূল্যায়ন করতে চাই। পঞ্চপাণ্ডবের অবদান অস্বীকার
করার উপায় নেই। রিয়াদের এখনও খেলার আগ্রহ ও চেষ্টা আছে। তবে রিয়াদের কাছ থেকে যেটা আশা করি সেটা পাইনি।’ ‘ছোট ছোট রান আছে, একদম নেই তা না। ২৭ বলে ২৭ আছে, ২২ বলে কিছু
রান আছে। তবে রিয়াদ ম্যাচ উইনার। এটা ভুলে গেলে হবে না। আজকেই বলছিলাম- অস্ট্রেলিয়ায় ইংল্যান্ডকে যখন হারালাম রিয়াদের সেঞ্চুরি অবিশ্বাস্য ছিল। ইংল্যান্ডের মাটিতে সাকিব-রিয়াদের
পার্টনারশিপে নিউজিল্যান্ডকে হারালাম। রিয়াদের এমন কিছু ইনিংস আছে যেখানে ও একাই বাংলাদেশকে জিতিয়েছে।’ লম্বা সময় ধরে ব্যাট হাতে সফলতা না পাওয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে
মাহমুদউল্লাহর দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গুঞ্জন রয়েছে বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়তে পারেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। যদিও শ্রীধরন শ্রীরামের তিনদিনের ক্যাম্পে রয়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহ থাকবেন কিনা সেটা নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা রেখেছেন সুজন। তিনি বলেন, ‘টু আর্লি টু আন্সার! যেহেতু এখনও রিয়াদ ক্যাম্পে আছে… সাদা বলের ক্রিকেটে রিয়াদ
এখনও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখনও চিন্তা করিনি তা না, চিন্তা আছে মাথায়। তবে এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। দল করার সময় সিদ্ধান্ত হবে রিয়াদ থাকবে কি থাকবে না বা রিয়াদকে আমাদের
দলে প্রয়োজন আছে কি না। তবে এটুকু বলি- রিয়াদ এখনও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রিয়াদ কেন সুযোগ পাবে বা কেন সুযোগ পাবে না- এসব নিয়ে আলোচনা হওয়া ভালো।’ সুজন আরও বলেন,
‘রিয়াদ যে অটোমেটিক চয়েজ না- সেটাও বলা যাবে না। আমাদের সবকিছু নিয়েই চিন্তা করতে হবে। দিনশেষে বাংলাদেশ দলের জন্য যা প্রয়োজন আমরা সেটাই করব। রিয়াদ যেহেতু এখনও এই ফরম্যাট
খেলে, এখনও সে আর দশটা খেলোয়াড়ের মতোই। তার অভিজ্ঞতা আছে, তবে কার অভিজ্ঞতা আছে আর কার নেই এটার ভিত্তিতে আমরা কাউকে আলাদা করছি না। রিয়াদ আমাদের জন্য যেমন
গুরুত্বপূর্ণ, রাব্বিও আমাদের জন্য তেমনই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই জাতীয় দলের খেলোয়াড়।’