ব্যাটারদের ভয়াবহ ব্যর্থতার পর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের লড়াকু ইনিংসে মিললো ১২৭ রানের পুঁজি। শারজার ধীর উইকেটে স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এই অল্প পুঁজিকেও জয়ের জন্য যথেষ্ট মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই তালগোল পাকালেন পেসাররা, হারতে হলো ম্যাচ।






এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরে শুরু হলো গত দুই আসরের রানার্সআপ বাংলাদেশ দলের মিশন। ম্যাচ শেষে সেই চিরায়ত বাক্যই শোনা গেলো বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে। তার মতে, ব্যাটিংয়ে ১০-১৫ রান কম করায়ই বদলে গেছে ম্যাচের ফল।






অল্প পুঁজি নিয়েও ম্যাচ জেতার আশা বাঁচিয়ে রাখায় অধিনায়কের প্রশংসা পেয়েছেন বোলাররা। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণে সাকিব বলেছেন, ‘প্রথম ৭-৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেললে সবসময়ই কাজটা কঠিন। তবে আমি মনে করি আমরা ১০-১৫ রান কম করেছি। আমার মতে, বোলাররা অসাধারণ বোলিং করেছে।’






তবে আফগানদের প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতেও ভোলেননি সাকিব। তার ভাষ্য, ‘প্রথম ১৫ ওভারে আমরা ভালোভাবেই ম্যাচে ছিলাম। শেষ ৫-৬ ওভারে তারা ম্যাচটা আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। কৃতিত্ব অবশ্যই আফগানিস্তানের, তারা খুব ভালো খেলেছে।’






ছয় ছক্কার মারে ৪৩ রানের সাইক্লোন তোলা নাজিবউল্লাহর ব্যাপারে সাকিব বলেছেন, ‘আমরা জানি নাজিবউল্লাহ একজন ভয়ঙ্কর খেলোয়াড়। শেষ ৬ ওভারে তাদের ৬০+ রান দরকার ছিল। এমন উইকেটে আমরা ভেবেছিলাম ম্যাচটি আমাদের হাতে আছে। কিন্তু কৃতিত্ব তাদেরই, যেভাবে ব্যাটিং করেছে।’
এসময় মোসাদ্দেকের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে সাকিব বলেন, ‘ব্যাটারদের আমরা এটিই আশা করে থাকি। টি-টোয়েন্টিতে যে-ই শুরু পাবে, তাকে নিশ্চিত করতে হবে যে পুরো ইনিংস খেলতে পারে। মোসাদ্দেক আমাদের হয়ে কাজটা করেছে। দুর্ভাগ্যবশত এটি যথেষ্ট ছিল না। আমাদের আরও কিছু কন্ট্রবিউশন প্রয়োজন ছিল, যা পাইনি।’