আর্জেন্টিনায় ফেরা অনিশ্চিত হয়ে গেল লিওনেল মেসির

সম্প্রতি আর্জেন্টিনার রোজারিওতে লিওনেল মেসির শ্বশুর-শাশুড়ির মালিকানাধীন একটি সুপার মার্কেটে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি একটি চিরকুটে মেসিকে উদ্দেশ্য করে হুমকিও দিয়েছেন বন্দুকধারীরা।এ ঘটনার প্রেক্ষিতে

বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি আর্জেন্টিনায় নাও ফিরতে পারেন মন্তব্য করেছেন মেসির সাবেক জাতীয় দল সতীর্থ গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ। বলেছেন, ‘এমন হুমকি মেসি এবং তার পরিবারকে নিজ দেশ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।’বর্তমানে

নিউওয়েল’স ওল্ড বয়েজ রোজারিওর কোচ গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ। ২০০৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত মেসির সঙ্গে ভাগাভাগি করেছিলেন ড্রেসিংরুম। মেসির পরিবারের উপর হামলা এবং চিরকুটের হুমকি দেয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাবেক আলবিসেলেস্তে

তারকা। বলেছেন, ‘লিও আর্জেন্টিনায় ফিরতে চায়। কিন্তু একদল মাদক পাচারকারীর হুমকি রোজারিও তারকাকে ভাবতে বাধ্য করবে। এটাই স্বাভাবিক।’‘মেসির সঙ্গে আমার সম্পর্ক থাকার কারণে আমরা তাকে আমাদের (নিউওয়েল’স ওল্ড বয়েজ)

খেলোয়াড় হওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু এ ঘটনা সবাইকে অনেক কিছু নিয়ে ভাবতে বাধ্য করেছে। অবশ্যই বিষয়টি লিওকে রোজারিও থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।”উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোরে রোজারিওর লাভালে অবস্থিত খাবারের

দোকান ‘ইউনিকো’র শাটার এবং সামনের দরজায় ১৪টি গুলি চালায় বন্দুকধারীরা।হামলাকারীরা কার্ডবোর্ডের একটি চিরকুটে মেসির উদ্দেশ্যে হুমকিবার্তাও রেখে গেছেন। সেখানে লেখা ছিল, ‘মেসি, আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।

জাভকিন একজন মাদক ব্যবসায়ী। সে তোমার দেখাশোনা করবে না।’দেশটির ক্ষমতাসীন পেরোনিস্ট জোটের বিরোধী বাম রাজনীতিবিদ জাভকিন। হামলার পর মেয়র জাভকিন রোজারিওতে সহিংসতা বৃদ্ধি, শহরে পুলিশের ঘাটতি

এবং সুরক্ষার অভাব সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।সেখানে অপরাধী চক্রের পাশাপাশি ফেডারেল নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উপরও হামলায় জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ‘আমি প্রত্যেককে সন্দেহ করি,

এমনকি আমাদেরকে যাদের রক্ষা করার কথা তাদেরও।’‘আমাদের রক্ষা করা যাদের দরকার তারা কোথায়? এটা স্পষ্ট, যাদের কাছে অস্ত্র আছে এবং অপরাধীদের বিষয়ে তদন্ত করার কথা, তারা এটা করছে না। যেকোনো গ্যাংয়ের পক্ষে এরকম কিছু করা খুব সহজ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *