নতুন কোচ ও নতুন অধিনায়কের হাত ধরে আমূল বদলে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডকে তো আগের সিরিজে ধবল ধোলাই করেই ছাড়ে। কিন্তু এক সিরিজ যেতেই আবার বেহাল দশা তাদের।






দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সে অর্থে লড়াইটাও করতে পারল না দলটি। ইনিংস ব্যবধানের বিব্রতকর এক হারের স্বাদ পেয়েছে বেন স্টোকসের দল। তাও আড়াই দিনেই। শুক্রবার লর্ডসে সিরিজের






প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইনিংস ও ১২ রানের ব্যবধানে হেরেছে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ১৬১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৪৯ রানে






গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে ১৬৫ রানে অলআউট হয়েছিল দলটি। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইংলিশরা।






ফলে গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি। এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও কোনো ব্যাটার দায়িত্ব নিতে পারেননি। প্রোটিয়া বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইনিংস ব্যবধানেই হারতে হয় স্বাগতিকদের।






শুরুর ধাক্কাটা দেন কেশভ মহারাজ। জ্যাক ক্রাউলিকে ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর অলি পোপকে ফেরান তিনি। দুই ব্যাটারকেই এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপর দলের অন্যতম






সেরা ব্যাটার জো রুটকে স্লিপে এইডেন মার্করামের ক্যাচে পরিণত করেন লুঙ্গি এনগিডি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা জনি বেয়ারস্টোকে ফেরান আনরিক নরকিয়া। তবে এক প্রান্ত






আগলে উইকেট ধরে রেখেছিলেন ওপেনার আলেক্স লিস। কিন্তু দলীয় ৮৬ রানে এ সেট ব্যাটারকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন নরকিয়া। তাতেই ইনিংস হার যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়ায়
দলটির। এরপর ব্রডের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ইনিংস হার এড়াতে পারেনি তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি মাত্র ৩৫ রানের। ওপেনার আলেক্স লিস ও লেজের ব্যাটার স্টুয়ার্ট ব্রডের ব্যাট থেকে
আসে এ ইনিংস। লিস ১১৭ বলে ২টি চারের সাহায্যে ৩৫ রান করেন। আর ব্রড আট নম্বরে নেমে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ২৯ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ রান করে হারের ব্যবধান কমান।
এছাড়া আর দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন স্টোকস (২০), জনি বেয়ারস্টো (১৮) ও জ্যাক ক্রাউলি (১৩)। প্রোটিয়াদের হয়ে ৪৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পেয়েছেন আনরিক নরকিয়া। এছাড়া
২টি করে উইকেট পেয়েছেন কাগিসো রাবাডা, কেশব মহারাজ ও মার্কো ইয়ানসেন। এর আগে সকালে আগের দিনের ৭ উইকেটে ২৮৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ তিনটি
উইকেট হারিয়ে আরও ৩৭ রান যোগ করে দলটি। মার্কো ইয়ানসেন ৪৮ রান করেন। তবে ১০ নম্বর ব্যাটার আনরিক নরকিয়ার ব্যাট থেকে আসে কার্যকরী ২৮ রান। ইংলিশদের হয়ে স্টুয়ার্ট ব্রড ও বেন স্টোকস ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি শিকার ম্যাথিউ পটসের।