




গতকয়েক বছরে সর্বশেষ ১৪ টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ হেরেছে মাত্র একটিতে। ২০১৬ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজ হা’রতে হয় ২-১ ব্যবধানে। তবে সব মিলিয়ে বাংলাদেশ





ক্রিকেট টিম এখন দারুন ফর্মে আছে। এবার যখন ইংল্যান্ড বাংলাদেশে এসেছে তখন দলটি বিশ্ব ক্রি’কেটে তিন ফরম্যাটেই শাসন করছে। আক্রমণাত্মক মান’সিকতায় ধুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে প্রতিপক্ষকে।





তবে নিজেদের কন্ডিশন বলে আশার বেলুনে হাওয়া দিতে কার্পন্য করছেন না হাবিবুল বাশার। তার আশার পেছনে পাথেয় হিসেবে কাজ করছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ





হারানো। আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি) টাইগারদের অনুশীলন চলাকালীন মিরপুরে সাংবাদিকদের বাশার বলেন, ‘আমরা কিন্তু বড় বড় দলকে হারাচ্ছি। শুধু বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে





তাদের হারিয়েছি। আমরা যতগুলো সিরিজ জিতেছি, সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকারটা সেরা।’ ‘কারণ দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের কন্ডিশনে হারানো খুবই কঠিন। আমরা ৫০ ওভারে ধারাবাহিকভাবে





পারফর্ম করছি, সবার সঙ্গেই। ভারতও কিন্তু অনেক শক্তিশালী দল নিয়ে এসেছিল। তাদেরকেও তো হারালাম। ইংল্যান্ডকে হারানো যাবে না এমন কোনো কথা নেই।’ ইংল্যান্ড ভালো দল হলেও





নিজেদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাশারকে। এই নির্বাচক উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরলেন গত ডিসেম্বরে ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়কে। তার ভাষ্য মতে,





‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সহজ বলে কোনো দল নেই। ইংল্যান্ডও ভালো দল। কিন্তু আমরা যে ধারাবাহিকতায় খেলছি, সেটা রাখতে পারলে সিরিজ জয়ের ভালো সম্ভাবনাই থাকবে।’ ‘দেখুন, ভারত





কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ছিল, উপমহা’দেশের কন্ডিশন অনুযায়ী। আমি কোনো দলকেই খুব বেশি এগিয়ে না পিছিয়ে ‘রাখব না। ইংল্যান্ড অবশ্যই ভিন্ন ধারার ক্রিকেট খেলছে, তিন





সংস্করণেই।’ জয়ের জন্য ভালো খেলতে হবে, প্রতিপক্ষ যেই-ই হোক না কেন। এই মন্ত্রেই বিশ্বাসী টাইগার নির্বাচক। তিনি যোগ করেন, ‘অন্য দল যেমন ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা –সবাই ভালো দল।





জিততে হলে আমাদের সবাইকেই ভালো খেলে জিততে হবে। এমন না যে ইংল্যান্ড দলে আমাদের ভিন্ন কিছু করতে হবে। আমরা যা ভালো করছি, সেটাই যদি ধারাবাহিকভাবে করতে পারি, তাহলে





আমার মনে হয় না আমাদে’র আলাদাভাবে কিছু করতে হবে।’ সমান তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খে’লতে আজ সকালে বাংলাদে’শে এসেছে ইংল্যান্ড। ১ মার্চ মাঠে গড়াবে প্রথম ওয়ানডে।