বিপিএলের এবারের আসরে অধিনায়ক হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজের নাম ঘোষণা করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলও ফল করছিল ভালো। অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়ে পঞ্চম ম্যাচে এসে অধিনায়ক পরিবর্তন করেছে চট্টগ্রাম।
মিরাজের বদলে গতকাল শনিবার নেতৃত্বে দেখা গেছে নাঈম ইসলামকে। মিরাজের দাবি, এমন সিদ্ধান্তের পেছনে ছিলেন চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং অফিসার ইয়াসির আলম!তার প্ররোচনাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রামের টিম ম্যানেজমেন্ট। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে মিরাজ ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন, ‘ইয়াসির থাকলে আমি খেলবো না।’
এ সময় অধিনায়কত্ব হারানোর ব্যাপারে মিরাজ বলেছেন, ‘আমাকে অধিনায়কত্ব থেকে কেন সরানো হলো কিছুই বুঝলাম না। দল আমার অধীনে ফল পেলো। আমি নিজে পারফর্ম করেছি। বাকিরাও স্বাচ্ছন্দ্যে আছে। কোচিং ম্যানেজমেন্ট খুশি। তাহলে কী কারণে কিছু না বলেই এমন সিদ্ধান্ত।’
আজ রবিবার টিম হোটেলে মিরাজ স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘কোচের (পল নিক্সনের ) সঙ্গে আমার ৩০ মিনিট কথা হয়েছে। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিবৃতি দিয়েছেন উনি। ইয়াসিরই সবচেয়ে বড় অপরাধী। আমি নিশ্চিত মালিককে যেভাবে বলা হচ্ছিল, তারা সেভাবেই সবকিছু করছিলেন।’ আরও পরিষ্কার হওয়ার জন্য মিরাজকে প্রশ্ন করা হয়- তাহলে কি আপনি থাকছেন? উত্তরে মিরাজ বলেছেন, ‘কেন থাকবো না। তবে ও (ইয়াসির) যদি দলের সঙ্গে থাকে, তাহলে আমি খেলবো না।’
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে দাবি করা হয়, প্রধান কোচ পল নিক্সনের কথাতেই নাকি মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলটির চিফ অপারেটিং অফিসার ইয়াসির আলমও এমনটাই বলেছিলেন। কিন্তু মিরাজের দাবি অনুযায়ী ইয়াসিরের বিবৃতি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট, ‘মালিককে নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই। মালিক অনেক ভালো মানুষ। কোচ চলে
গেছে, উনি যাওয়ার আগে নাকি আমাকে নিয়ে অনেক কথা বলে গেছেন। আমি নাকি নিজের জন্য ক্রিকেট খেলি। অথচ নিক্সনের সঙ্গে কথা হয়েছে, ও বলেছে সে এমন কিছু কখনোই বলেনি।’ এ সময় মিরাজ বলেন, ‘দু’দিন পর তো পারফর্ম করলেও আমাকে দলে রাখা হবে না। এটা তো স্রেফ অপমান। আমি এখনো জাতীয় দলের ক্রিকেটার। এখানে আমাদের নিজেদেরও চ্যালেঞ্জ থাকে, সবার থেকে সেরা হতে হবে। জাতীয় দলে আবার ব্যাক করতে হবে। সেভাবেই আমার মানসিকতা ঠিক রাখতে হবে। কিন্তু এমন পরিবেশে খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন।’
মিরাজ আরও বলেছেন, ‘‘এখন খেলার মন মানসিকতা নেই। হয়তো আমার সঙ্গে ওনাদের কমিনিউকেশন গ্যাপ হয়েছে। খেলার তিনঘণ্টা আগে আমাকে বলেছে, ‘তুমিঅধিনায়কত্ব করছো না।’ আমি জানতে চেয়েছি, কেন আপনারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন। আপনাদের এমন ভাবনা থাকলে আমাকে আগে থেকেই জানিয়ে দিতেন।’