বাংলাদেশ দলে জিম্বাবুয়ে সফরের টি২০ দলে ছিল ওপেনারের ছড়াছড়ি। অভিজ্ঞ-অনভিজ্ঞ মিলিয়ে অন্তত পাঁচজন ব্যাটার ওপেন করতে পারতেন। অথচ এশিয়া কাপের দেখা গেল অন্য চিএ।






এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধার মতো দ্বিতীয় কোনো ওপেনার নেওয়া হয়নি ১৭ জনের এশিয়া কাপের দলে। মিডল অর্ডারে আবার জিম্বাবুয়ে সফরের উল্টো চিত্র। একই রকম ব্যাটারে






ছড়াছড়ি। এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে এমন এলোমেলো একটি দল শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান চিন্তা করতে না পারলেও বাংলাদেশ বুঝে না বুঝে তা করে দেখিয়েছে। এশিয়া কাপটাকেই






পরীক্ষা-নিরীক্ষার মঞ্চ বানানোর পরিকল্পনা করছে তারা। মিডল অর্ডার ব্যাটার দিয়েই হয়তো ব্যাটিং ওপেন করাবে তারা। এখন দেখার বিষয় এই মিডল অর্ডার ব্যাটার নিয়ে বাংলাদেশ ওপেনিং






কতটা ভালো করতে পারবে। তিনজন ব্যাটারের ইনজুরির কারণে সেরা দল গড়া সম্ভব হয়নি। তবে বিকল্প তালিকা থেকেও সেরাদের বেছে নেননি নির্বাচকরা। ওপেনিং স্লটকে উপেক্ষা করায়






১৭ জনের দলে জায়গা হয়নি সৌম্য সরকারের মতো পরীক্ষিত ব্যাটারের। সেখানে মিডল অর্ডারে মুশফিকুর রহিম,মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সঙ্গে সাব্বির






রহমানকে নিয়েছেন তাঁরা। মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদীও লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার। আঙুলে অস্ত্রোপচার হওয়া সোহানকেও রেখেছেন তাঁরা। এর পরও সাব্বিরকে নেওয়ার পেছনে প্রধান






নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু লম্বা যুক্তি দিলেন, ‘সাব্বির অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। টি২০ আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ওর খেলার অভিজ্ঞতা থেকেই দলে নেওয়া হয়েছে। আমরা টিম ম্যানেজমেন্টের
সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সাব্বিরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিছু কিছু জায়গায় কিছু খেলোয়াড়কে এভাবে চিন্তা করতে হয়। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা দেখতে হয়। যেহেতু এবার আমাদের
ইনজুরি সংখ্যা বেশি সেদিক থেকে একজন বাড়তি মিডল অর্ডার ব্যাটার দরকার। আর সাব্বিরকে ‘এ’ দলের হয়ে উইন্ডিজে পাঠিয়েছি সেখানে খেলে সে আন্তর্জাতিক আবহ আরেকটু পাবে। সেটা সে
জাতীয় দলে কাজে লাগবে। সাব্বির ডিপিএলে খুব একটা খারাপ খেলেনি। এরপর তো সে নার্সিংয়ে আছে টাইগার্সে, এরপর ‘এ’ দলে। এই অভিজ্ঞতা তার জন্য বিরাট পাওয়া। এগুলো কাজে লাগিয়ে সে
জাতীয় দলে অবশ্যই ভালো করবে।’ মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির, সোহান, শেখ মেহেদী একই পজিশনের ব্যাটার। সেখানে ছন্দহীন মাহমুদউল্লাহকে স্কোয়াডে রাখার বড় কোনো যুক্তি নেই। ২৭ বলে ২৭ রান
করা মাহমুদউল্লাহই টি২০-এর স্লগের ব্যাটার। স্কোয়াড ঘোষণার পরই তাই একজন সাবেক ক্রিকেটার খোঁচার সুরে বললেন, ‘যে দলের স্লগ ব্যাটার এমন সেই দলের পারফরম্যান্স কী হবে বোঝা হয়ে
গেছে।’ মাহমুদউল্লাহ বর্তমানে ছন্দে নেই। ওয়ানডে দলেই তাঁর জায়গা ঝুঁকির মুখে। সেই ব্যাটারকে যে যুক্তিতে নির্বাচকরা দলে নিয়েছেন তা বিস্ময়কর। বিকল্প না পাওয়ায় মুশফিকের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহকে
রেখেদিয়েছেন তাঁরা। জুনিয়ররা ভালো না খেললে ছন্দহীন এ ব্যাটারকে খেলানো হবে। এই মিশ্র দল গড়ার পেছনে নান্নুর ব্যাখ্যা হলো, ‘আমরা টি২০ ভালো অবস্থানে নেই। সেসব বিবেচনায় নিয়েই
দল তৈরি করেছি। আশা করছি এশিয়া কাপে ভালো কিছু করবে এই দল। সেখানে কঠিন প্রতিযোগিতা হবে, এর আগে জিম্বাবুয়েতে ভালো করতে পারিনি। আশা করছি এই দলটা এশিয়া কাপে ভালো
করবে।’ যে দলের ব্যাটিং লাইনআপ ফাঁপা সেই দলের কাছ থেকে সমর্থকরা অন্তত সেরা পারফরম্যান্স আশা করবেন না।