




সন্দেহাতীতভাবেই ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে আকাশছোঁয়া সাফল্য আবাহনীর। ঢাকার প্রিমিয়ার লিগের সর্বাধিক শিরোপা উঠেছে আকাশি-হলুদ শিবিরে। কিন্তু আগেরবার কাগজে-কলমে অন্যতম





সেরা দল নিয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ধানমন্ডির দলটি। শেখ জামাল আর লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের পর তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যদের। আর তাই





এবার শুরু থেকেই শিরোপা পুনরুদ্ধারে নেমে পড়েছে আবাহনী। শিরোপা পেতে আবাহনীর প্রথম লক্ষ্য ছিল দেশের এক নম্বর তারকা সাকিব আল হাসানকে দলে টানা। সাকিবকে দলে





ভেড়ানোর সম্ভাব্য সব চেষ্টাই ছিল। সাকিবের সাথে কথাবার্তাও হয়েছিল আবাহনী কর্তাদের। কিন্তু তা খুব বেশিদূর আগায়নি। সাকিব মোহামেডানের সাথে চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। পাশাপাশি





সাদাকালোর দল গোছানোর কাজও করে দিয়েছেন। সাকিব মিশন সফল না হলেও আবাহনীর দুটি টার্গেট ঠিকই পূর্ণ হয়েছে। সেই গত বছর লিগ শেষে এনামুল হক বিজয় আর তাসকিন





আহমেদকে দলে টানার কথা মোটামুটি পাকা করে ফেলে আবাহনী। জাগো নিউজের পাঠকরা আগেই ধারণা পেয়েছিলেন, তাসকিন আর বিজয় আবাহনীতে যোগ দিতে পারেন। শেষ





পর্যন্ত তাদের দলে নিয়েও নিয়েছে আবাহনী। এর মধ্যে বিজয় আজ বৃহস্পতিবার স্বশরীরে সিসিডিএম অফিসে এসে আবাহনীর পক্ষে সই করলেও আগের রাতে তাসকিন অনলাইনে দল বদলের





আনুষ্ঠানিকতা সারেন। আজ দলবদলের প্রথম দিনই দুজন আবাহনীতে যোগ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত লিগে রেকর্ড ১১৩৮ রান করে প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন বিজয়।





আর তাসকিনের মোহামেডানে খেলার কথা থাকলেও জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে হয়নি। এবার নতুন ঠিকানায় ডানহাতি এই পেসার। এদিকে আজ ২ মার্চ দলবদলের প্রথম দিন আবাহনী





তাদের ঘর গোছানোর কাজ সেরে ফেলেছে। টপঅর্ডার বিজয় আর পেসার তাসকিনের পাশাপাশি জাতীয় দলে খেলা মাহমুদুল হাসান জয়, অলরাউন্ডার রিপন মন্ডল, নাহিদুল ইসলাম, পেসার





নাহিদ রানা, লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন ও উঠতি প্রতিভা রাকিবুল হাসানকেও দলে টেনেছে আবাহনী। এই এক ঝাঁক খেলোয়াড়কে দলে নেওয়ার পাশাপাশি আবাহনী তাদের আগেরবারের





ফ্রন্টলাইন পারফরমারদের প্রায় সবাইকে রেখে দিয়েছে। ঘরের ছেলে হয়ে ওঠা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, লিটন দাস, নাইম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোহাম্মদ





সাইফউদ্দিন ও তানজিম সাকিব এবারও আবাহনীতেই। প্রায় একযুগ ধরে আবাহনীর ঘর সাজানো ও প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পালন করা খালেদ মাহমুদ সুজন এবারও যথারীতি আবাহনীর প্রধান কোচের





ভূমিকায়। সহকারী কোচ হয়েছেন রাজিন সালেহ। আবাহনীর এবারের লাইন আপ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদুল হাসান জয়, নাইম শেখ,





আফিফ হোসেন ধ্রুব, জাকের আলী অনিক, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তানজিদ ইসলাম সাকিব, নাহিদুল ইসলাম, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান, রিশাদ হোসেন, রিপন মন্ডল, শাহবাজ আহমেদ ও বাবা ইন্দ্রজিৎ।