বিগত বেশ কিছু সময় ধরে এক ওয়ানডে ফরম্যাট ছাড়া বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় সমস্যা ওপেনিং। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে তামিমের সরে দাঁড়ানোর পর থেকে এখন অব্দি ওপেনিং






এ ভরসা করার মতো একজন ক্রিকেটার তৈরি করতে পারেনি ম্যানেজমেন্ট। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি এক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্টেরও যথেষ্ট দায় নিতে হবে। অবস্থা এখন এমন দাড়িয়েছে যে






অবিশেষজ্ঞ ওপেনার দিয়ে এশিয়া কাপের মতো বড় একটি টুর্নামেন্ট পাড়ি দিতে হবে টাইগারদের। এছাড়া বোধহয় কোনো উপায় ও ছিল না ম্যানেজমেন্টের হাতে। বিশেষজ্ঞ ওপেনারদের






যে পারফরম্যান্স তাতে বড় দলগুলোর বিপক্ষে ম্যাচ জেতা তো দূরের কথা ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাও গড়ে তুলতে পারবে না টিম বাংলাদেশ। ওপেনিং এ বর্তমানে এনামুল হক বিজয়ের সাথে অবিশেষজ্ঞ






কাউকে চিন্তা করা হচ্ছে। ম্যানেজমেন্টের প্রথম পছন্দ মুশফিকুর রহিম। এর আগেও ২০২০ সালে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানদের বিপক্ষে ওপেন করেছিলেন মুশফিক, করতে পেরেছিলেন






মাত্র পাঁচ রান। ম্যানেজমেন্টের মুশফিককে দিয়ে ওপেন করানো সিদ্ধান্তটি যথেষ্ট সাহসিকতার এবং বুদ্ধিদীপ্ত। কারণ এশিয়া কাপের মতো একটি টুর্নামেন্টে নিশ্চয়ই নতুন কোনো ওপেনার






কে দিয়ে ওপেন করিয়ে তাকে চাপে ফেলাটা উচিত হবে না। তবে মুশফিক যেহেতু প্রায় ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন, তাই অন্যান্য যেকোনো তরুণ ক্রিকেটারের চেয়ে






এ ধরনের চাপ সামলাতে বেশি পারদর্শী মুশি। তবে ওপেনিং এ ব্যাট করার প্রসঙ্গে সবার আগে মুশফিকের সম্মতি জানাতে হবে। মুশফিক সম্মতি জানাবেন কিনা এটি ও একটি প্রশ্ন? মুশফিকুর
রহিম ছাড়াও ওপেনের হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, এবং শেখ মাহাদী হাসান। স্কোয়াডে থাকা নুরুল হাসান সোহান এখনো পুরোপুরি ফিট নন। ফলে তার জায়গায়
স্ট্যান্ডবাইতে থাকা ক্রিকেটার স্কোয়াডে আসতে পারেন। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে দলের সাথে সৌম্যকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন নির্বাচকেরা। তবে সৌম্যর খারাপ পারফরমেন্সে হয়তো ভাগ্য খুলে যেতে
পারে নাইমের। উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এই ক্রিকেটার। খেলেছেন ১০৩ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। নাঈমের এ পারফরমেন্সের
প্রেক্ষিতে হয়তো সৌম্যর জায়গায় স্ট্যান্ডবাই হিসেবে নাঈমকেই চাইবেন নির্বাচকেরা। নুরুল হাসান সোহানও পুরোপুরি ফিট নয়। এশিয়া কাপের আগে সোহান পুরোপুরি ফিট না হতে পারলে
নাঈমকে তখন স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা লাগবে নির্বাচকদের। সেক্ষেত্রে ওপেনিং স্লটে আরও একটি বিকল্প বাড়বে নির্বাচকদের কাছে। হয়তো এনামুল হক বিজয়ের সাথে কোনো অবিশেষজ্ঞ
ওপেনার নয়, নাঈমকেই খেলানোর কথা চিন্তা করতে পারবে ম্যানেজমেন্ট। দৃশ্যপটের বাইরে থাকা নাইমই হয়তো হতে পারে টাইগারদের ওপেনিং সংকটের সমাধান