সাদা বলের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল পারফর্মারদের একজন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ব্যাট হাতে আছেন দারুণ ছন্দে। তবে অনেকেই মনে করেন, এই ব্যাটারের






কাছ থেকে তার প্রতিভার সর্বোচ্চটা পাচ্ছে না টাইগাররা। লোয়ার মিডল অর্ডারে খেলায় নিজের সহজাত ব্যাটিং করার পর্যাপ্ত বল বা সুযোগ পান না তিনি। তাছাড়া দলে নির্ধারিত কোন রোলও নেই তার।






তবে অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে এশিয়া কাপ থেকেই। এমন আভাস দিয়েছেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। অভিষেকের পর থেকেই আলোন ছড়াচ্ছেন আফিফ হোসেন।






এরই মধ্যে আলোচনায় থাকার মতো দারুণ কয়েকটি ইনিংস খেলেও ফেলেছেন এই ব্যাটার। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং আর হার না মানা মানসিকতার কারণে কেড়েছেন নজর। তবে এতদিনেও নির্দিষ্ট কোন






পজিশনে ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি তিনি। দলের প্রয়োজনে লোয়ার মিডল-অর্ডারে বিভিন্ন পজিশনে খেলতে হচ্ছে তাকে। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটে টপ অর্ডারে ব্যাট করেই আলো ছড়িয়েছিলেন তিনি।






তবে সব চ্যালেঞ্জ উতরে এবার আফিফ পেতে যাচ্ছেন ব্যাটিং অর্ডারে নির্দিষ্ট পজিশনে ব্যাটিংয়ের সুযোগ। আসন্ন এশিয়া কাপেই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আফিফকে ব্যাট করতে দেখা যাবে ৪






নম্বরে। ব্যাটিং অর্ডারে আফিফের প্রমোশন নিয়ে এমন আভাস দিয়েছেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। সোমবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ






মাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানেই ওকে সুযোগ দেব। আমরা নির্দিষ্ট একটা দায়িত্ব নিয়ে আফিফকে চিন্তা করছি। হি ইজ আ ডায়নামো। আমার মনে হয়, সে আত্মবিশ্বাসী একটা ছেলে।
শেষ দুটি সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করেছে। ওয়ানডেতেও ভালো খেলেছে। আমরা আফিফকে সে জায়গাটা দেব। কারণ, সে আমাদের ভবিষ্যৎ।’ যদিও বর্তমানে এই পজিশনে খেলে থাকেন মিস্টার
ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিম। তবে এশিয়া কাপে বদলে যেতে পারে তার ব্যাটিং পজিশনও। এমনকি ওপেনিংয়েও দেখা যেতে পারে মুশফিককে। আফিফের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো
সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন সুজন। শর্টার ভার্সনে যে ধরণের আক্রমণাত্মক মানসিকতা দরকার, এই ২২ বছর বয়সীর মধ্যে সে গুণ দেখতে পাচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা, সে আক্রমণাত্মক।
এটাই আমরা দলের মধ্যে চাই। বাংলাদেশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে। অবশ্যই তাকে আমাদের সে সুযোগটা করে দিতে হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব।’ সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে
বাংলাদেশ দলের হয়ে সবচেয়ে ধারাবাহিক পারফর্মার ছিলেন এই বাঁহাতি ক্রিকেটারই। টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের একমাত্র জয়ের ম্যাচে ৩০ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেছিলেন আফিফ। এরপর
জ্বলে উঠেছিলেন ওয়ানডে সিরিজেও। প্রথম দুই ওয়ানডেতে হেরে তৃতীয় ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে দলের পক্ষে ৮৫ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এই তরুণের
দারুণ পারফরম্যান্সের প্রেক্ষিতে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও। তৃতীয় ওয়ানডেতে ম্যাচ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আফিফকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি
আফিফের মধ্যে কিছু অনন্য যোগ্যতা দেখেছি, যেটা খুব বেশি ক্রিকেটারের মধ্যে নেই। আপনি যদি দেখেন, দ্বিতীয় ম্যাচেও আফিফ যখন ব্যাটিংয়ে আসে, আমরা চাপে ছিলাম এবং চাপটা সে দ্রুতই
সরিয়ে দিয়েছে। এই ধরনের খেলোয়াড় অন্যদিন একই জিনিস করতে গিয়ে আউট হয়ে যাবে। তখন আপনারা–আমরা বলব যে এটা কী করল! কিন্তু তার মধ্যে যে কোয়ালিটি আছে, সেটা আমি হারাতে চাই না। সে এভাবেই খেলুক।’