সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ দলে ছিলেন পাঁচজন ওপেনার। মূলত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যই ছিল ওই সফরটা। যদিও টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে সিরিজে সমান ২-১ ব্যবধানে হেরে






যায় বাংলাদেশ। দুটি সিরিজেই ওপেনারদের অদল-বদল করে খেলানো হলেও সফলতা আসেনি সেভাবে। চলতি বছরে ৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫ বার পরিবর্তন আনা হয় ওপেনিং জুটিতে। এশিয়া






কাপের জন্য ঘোষিত ১৭ সদস্যের দলে স্বীকৃত ওপেনার রয়েছেন কেবল আনামুল হক বিজয় এবং পারভেজ হোসেন ইমন। জিম্বাবুয়ে সফরে বিজয় তিন ম্যাচে করেছিলেন যথাক্রমে ২৬, ১৬ এবং ১৪






রান। পারভেজ হোসেন ইমন একটি ম্যাচে সুযোগ পেলেও করেন মাত্র ২ রান। তাই বলাই যায় এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ভুগবে ওপেনার সংকটে। দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও স্বীকার






করে নিয়েছেন ওপেনার সংকটের বিষয়টি। সোমবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘আমাদের ওপেনাররা কেউ ভালো করছে না। এটা মাথায় নিতে হবে। জিম্বাবুয়েতে আমরা






কয়েকজনকে দেখেছি, ভালো করেনি। আমাদের মেক-শিফট করতে হবে। বিভিন্ন উইকেটের পরিকল্পনা করে হয়তো আমরা মেক-শিফট করব। কে হবে বা কে করবে না, এটা এখনই বলছি না।






তবে আমরা অনেক চিন্তা করেছি।’ এই সংকট কাটাতে ওপেনারের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম কিংবা শেখ মেহেদী বা মেহেদী হাসানকে। সুজন জানিয়েছেন






এমনটাই। ‘স্বীকৃত ওপেনার এখানে আছে বিজয় (এনামুল) ও পারভেজ ইমন। তবে বাকি অনেকেই কিন্তু লোকাল ক্রিকেটে ওপেন করেছে। আমরা ওভাবেই ভাবছি। মুশফিক হতে পারে, সাকিবও
হতে পারে। মিরাজ হতে পারে, শেখ মেহেদিও ওপেন করেছে। সুতরাং অনেকগুলো অপশন আছে আমাদের হাতে।’ আগামী ২৭ আগস্ট থেকে এশিয়া কাপের আসর শুরু হলেও বাংলাদেশের প্রথম
খেলা ৩০ আগস্ট আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এই ম্যাচেও ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে নিচের দিকে খেলা অভিজ্ঞ কাউকে। মূলত বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এশিয়া কাপকেও যাচাই-বাচাইয়ের অংশ
হিসেবেই দেখবে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট। ‘অভিজ্ঞদের মধ্যে থেকে খুঁজে বের করতে চাই, যারা টি-টোয়েন্টি অনেক খেলেছে। কিংবা যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওপেন করেছে।
তাদেরকে আমরা চিন্তা করতে পারি, কারও ব্যাটিং পজিশন বদলে দিয়ে। এশিয়া কাপে আমরা করতে পারি এসব।’