ক্রিকেটার হিসেবে ভারতীয় শ্রীধরন শ্রীরাম ছিলেন নিতান্তই সাদামাটা। কোচ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া দল এবং আইপিএলে সফলতা পেলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে অনেক বেশি পরিচিত হননি শ্রীরাম। সেই ভারতীয় কোচকে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি






দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।মূলত কোচ হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের খোলনচল বদলে দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে তাকে। আধুনিক ক্রিকেটে নতুন ব্র্যান্ডের টি-টোয়েন্টি






ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান বদলে দেওয়া জন্য শ্রীরামকে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক হিসেবে দেওয়া হয়েছে নেতৃত্ব।টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে আগ্রাসী






মনোভাব আনার ক্ষেত্রে সাকিবের যে চিন্তা তার সঙ্গে নিজের ভাবনার মিল খুঁজে পান শ্রীরাম। যার ফলে কাজ করার জন্য অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে পাওয়ায় দারুণ খুশি ভারতীয় কোচ শ্রীরাম।আরব আমিরাতে সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় এই






কোচ বলেন, ‘সাকিবকে এই মুহূর্তে অধিনায়ক হিসেবে পাওয়া দারুণ ব্যাপার। আগে তাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে সম্মান করেছি। এই প্রথম তার সঙ্গে আমি কাজ করছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গী দেখে খুব ভালো লেগেছে। খুবই আধুনিক,
তরতাজা এবং আমরা একই অবস্থানে আছি।তরুণদের সঙ্গে তার সম্পর্ক দুর্দান্ত। তরুণরা তার দিকে তাকিয়ে থাকে, তাকে সম্মান করে। একই সঙ্গে তারা খুব সহজেই তার কাছাকাছিও যেতে পারে। এটা অনন্য একটা মিশ্রণ, যেখানে শ্রদ্ধাও আছে,
আবার সহজে মেশাও যায়। দলের সঙ্গে অধিনায়কের এই রসায়ন থাকা দারুণ ব্যাপার। আমার মনে হয় ওকে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশের দিক থেকে ইতিবাচক এবং সঞ্জীবনী একটা পদক্ষেপ।’
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুবই বাজে। সর্বশেষ ১৬ ম্যাচে মাত্র ১ জয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও মূল পর্বে জেতেনি একটি ম্যাচও। এমনকি হেরেছে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও। তবে এসব বিষয়ে জানতে চান না শ্রীরাম।
বরং টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টির জন্য নতুন উদ্যম আনতে চান জানিয়ে শ্রীরাম আরও যোগ করেন, ‘আমি খোলা চোখ নিয়ে এসেছি। আমার পিছুটান নেই। যেটি (টি-টোয়েন্টিতে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো না) বলছেন, সেটি আসলে আমার কাছে অজানাই বলতে পারেন। আমি ওভাবে দেখছি না। খোলা চোখে দেখছি, আমার পরিকল্পনা নতুন জীবনীশক্তি আনতে চাই। দলকে একত্র করতে চাই, নতুন শুরু করতে চাই।
তারা কোন বিষয় ভালো করতে পারেনি, সেটি দেখার বিষয় নয়। কী করতে পেরেছে- সেটি দেখার বিষয়। এর মাধ্যমে সেরাটা বের করে আনা। আমার নজর থাকবে স্বল্প সময়ে তাদের ওইসব শক্তিমত্তার ওপর নির্ভর করা, সেগুলো বাড়ানো। যেগুলো ভালো করিনি, সে সব এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে, যদি আমরা যা ভালো করছি, সেগুলো করতে থাকি।’