




অগ্রণী ব্যাংকের সঙ্গে মাত্র এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি সাব্বির রহমান। সিটি ক্লাবের বিপক্ষে সেই আক্ষেপ মিটিয়ে করেছেন সেঞ্চুরি করে। তৌফিক আহমেদের গুড লেংথ ডেলিভারিতে লং অন দিয়ে চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ





করা সাব্বির শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১১০ রানে। সাব্বিরের এমন সেঞ্চুরির দিনে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছেন ইরফান শুক্কুর। তাদের দুজনের ব্যাটে সহজ জয় পায় লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে





জয়ের জন্য ২৪৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রূপগঞ্জ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় তারা। রবিউল হকের বলে ডিপ এক্সট্রা কভারে ঠেলে দিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন মুনিম শাহরিয়ার। দ্রুত রান নিতে গিয়ে রান





আউটে কাটা পড়তে হয় ৫ রান করা এই ওপেনারকে।তিনে নামা সাব্বিরকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন পারভেজ হোসেন ইমন। বাঁহাতি এই ওপেনার শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করেছেন। তৌফিকের ওভারে দুই চার ও এক ছক্কায় নিয়েছেন ১৫ রান।





সাব্বিরের সঙ্গে ইমনের জমে ওঠা জুটি ভাঙেন আসিফ আহমেদ রাতুল। ডানহাতি এই স্পিনারের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ৩৯ রান করা ইমন।বাঁহাতি এই ওপেনার ফেরার পর তৌফিকের বলে এক রান নিয়ে ৫২ বলে





হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাব্বির। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন ইরফান। বাহারি সব শটে ডিপিএলের এবারের আসরে টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তৌফিকের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন সাব্বির।
তার ওভারে তিন চার মেরে ৯৭ বলে এবারের মৌসুমে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তারা দুজনে মিলে রূপগঞ্জকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে যান। তবে জয়ের আগ মুহূর্তে বিদায় নিতে হয় ৭৪ রান করা ইরফানকে। তবে শেষ পর্যন্ত
১১০ রানে অপরাজিত ছিলেন সাব্বির।এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান তোলে সিটি ক্লাব। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৫১ রানের ইনিংস খেলেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ছাড়া আসিফ আহমেদ ৩১, তৌফিক, রবিউল ও রায়ান রাফসান সমান ২৭ রান করে করেছেন। রূপগঞ্জের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন নাঈম ইসলাম জুনিয়র।