




বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রতিবারই সুযোগ পায় বিদেশিরা। তবে সথিক ভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে দেশি কোচদের তেমন কোন সুযোগ দেওয়া হয়নি। এদিকে দেশের ক্রিকেটে যখনই





কোচের অভাব পড়ে তখনই বিসিবির নজর চলে যায় বিদেশিদের দিকে। যতই দেশি কোচদে উপর নজর পড়ুক না কেন জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে বিদেশিদের উপরেই আস্থা বেশি





বোর্ডের। এই নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও কম হয় না। তবে এবার সময় এসেছে সেই গন্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে। এবার বিদেশিদের বৃত্ত থেকে বের হতে চলেছে বিসিবি। গত ২০





ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে নবনিযুক্ত কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সহকারী খুঁজছে বোর্ড। এ জন্য বিজ্ঞাপণও দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আবেদন উন্মুক্ত রাখা হয়েছে দেশি





কোচদের জন্যও। শুধু তাই নয়, আগ্রহী দেশি কোচরা যাতে আবেদন করে সেই আহ্বান করেছেন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিসিবিতে হাথুরসিংহের





সঙ্গে সাক্ষাতের পর সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাপন। এ সময় দেশিদের আবেদনের বিষয়টি বারবার তুলে ধরেছেন। অর্থ্যাৎ বিসিবি চায় দেশি কোচরা আসুক কোচিং প্যানেলে।





বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আজকে আমরা সহকারী কোচের জন্য বিজ্ঞাপণ দিয়েছি। আমি আশা করছি দেশি-বিদেশি যারা আগ্রহী তারা আবেদন করবে। এখানে আরেকবার আমি এই কথাটা





জোর দিয়ে বলছি, আমরা যখন এরকম বিজ্ঞাপণ দেই, সাধারণত বিদেশিরা আবেদন করে। আমরা চাচ্ছি দেশি যদি কেউ আগ্রহী থাকে তারা যেন আবেদন করে।’ দেশি কোচদের আবেদনের





পর যদি তাদের সহকারী হিসেবে জায়গা না দিতে পারে তাহলে অন্যকোনো জায়গায় তাদের দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি। ‘আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে বলছি দেশি-বিদেশি





যারাই এই পজিশনের জন্য আগ্রহী তারা যেন আবেদন করে। এই পজিশনে হলেতো হলোই, যদি না হয় তাহলে চেষ্টা করবো অ্যান্যন্য জায়গায় তাদের অবস্থান করে দিতে। যাতে ভবিষ্যতে





তারা আসতে পারে’ -এভাবেই বলেছেন পাপন। এর আগে সালাউদ্দিন অন্তবর্তীকালীন সহকারী কোচ ছিলেন। একইভাবে নানা সময় খালেদ মাহমুদ সুজনও কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।





এবার কি তাহলে পাকাপাকিভাবে কোচিং প্যানেলে দেশি কাউকে পাওয়া যাবে?