




ক্যারিয়ারের নানা বাঁক পেরিয়ে খানিকটা স্বস্তিতে নাজমুল হোসেন শান্ত। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতার অভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত সমালোচনা আর ট্রলের শিকার হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।খারাপ সময় পেছনে





ফেলে নিজের প্রতিভার সদ্ব্যবহার করতে শুরু করেছেন তিনি। শান্ত যখন নতুন করে সামনে আসার পথ খুঁজে পেয়েছেন তখন তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নাসের হুসেইন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়কের চোখে, শান্ত বাংলাদেশের





ক্রিকেটের ভবিষ্যত তারকা।সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৮০ রান করেছিলেন শান্ত। যদিও তাকে বিশ্বকাপ দলে নেয়ায় প্রশ্নের কমতি ছিল না। দেশের বেশিরভাগ ক্রিকেট সমর্থক যখন তার সমালোচনায়





ব্যস্ত তখন নিরবে-নিভৃতে পারফরর্ম করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন শান্ত। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবশ্য নিজের নামের প্রতি সুবিচারও করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার।অথচ বয়সভিত্তিক পর্যায় কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেট, সব জায়গায় দাপিয়ে





বেরিয়েছেন শান্ত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) ইনভেস্ট করেছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। দেশের আসা বেশিরভাগ কোচরা প্রশংসা করে থাকেন তার। বলা হয়ে থাকে শান্তর মাঝে প্রতিভার কমতি নেই। তবে সেটার ঠিকঠাক ব্যবহার





করতে পারছিলেন না তিনি।বিশ্বকাপের পর থেকে নিজেকে যেন বদলাতে শুরু করেছেন শান্ত। যার প্রমাণ মিলেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে করেছেন ৫১৬ রান, হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরাও। নিজের ছন্দ ধরে





রেখেছেন চলমান ইংল্যান্ড সিরিজেও। ইংলিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দুটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার। টি-টোয়েন্টিতেও শান্ত ব্যাট চলছে সমান তালে।ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি জেতা ম্যাচে করেছিলেন ৫১ রান। সেদিন ম্যাচ
শেষ করে আসতে না পারলেও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শান্ত ছিলেন স্পট অন। মন্থর উইকেটে দলের বিপর্যয়ে অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছেন। শান্তর এমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পর
তার প্রশংসা করেন নাসের।বাংলাদেশকে আরও ভালো ক্রিকেটার বের করার পরামর্শ দিয়ে নাসের বলেন, ‘ফেয়ার প্লে টু বাংলাদেশ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ২-০ তে এগিয়ে । তারা (বাংলাদেশ) দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। শান্ত তারকা হতে
চলেছে। তাদের ভালো কিছু ক্রিকেটার খুঁজে বের করতে হবে। এটি তাদের জন্য বড় জয়।’বাংলাদেশের সঙ্গে খেলা হলেও একই গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন নাসের। তিনি বলেন, ‘আমরা ইংল্যান্ড ক্রিকেট
দল। এটি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সফর। এটা বাংলাদেশের জন্য কি ছিল সেটা আমরা দেখেছি। আমাদের সবাইকে একই চোখে দেখতে হবে। তাদের (ইংল্যান্ড) স্কোয়াড ভারসাম্যপূর্ণ ছিল না।’