সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টিতে আগ্রাসী ক্রিকেট দেখতে চায় বিসিবি। এমনকি এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখছে বোর্ড। মন্থর গতিতে নয়, শুরু থেকেই খেলতে হবে






মারকুটে ঢংয়ে। তবে, খুব বেশি স্বীকৃত ওপেনার না থাকায়, প্রতিপক্ষ ও উইকেট অনুযায়ী পরিবর্তন আসবে ওপেনিংয়ে। অধিনায়কত্ব হারালেও স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।






জানিয়েছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। ক্রিকেটাঙ্গণে সাহসী ক্রিকেটের গল্প। কিন্তু, এই মন্ত্র যে কাজে আসেনি জিম্বাবুয়ে সফরে। টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে- দুই সিরিজই হেরে এসেছে






বাংলাদেশ। এমন ব্যর্থতার পরও অবশ্য কাঠগড়ায় উঠতে হয়নি ক্রিকেটারদের। এই ক’দিন বোর্ড ব্যস্ত ছিল টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব আর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। এশিয়া কাপের সময় ঘনিয়ে






আসায় পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই। বিশ্বাস রাখতে হচ্ছে সাকিবের নেতৃত্বাধীন দলের ওপরই। খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘সাকিব আক্রমাণত্মক অধিনায়ক। অবশ্যই আমরা ওই ধরণের ক্রিকেট






খেলতে চাই। বলছি না আমরা হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাব। কিন্তু আমরা ওই পথটা ধরতে চাই, কিভাবে এ ফরম্যাটে ভালো করতে পারি।’ টি-টোয়েন্টির প্রচলনে বদলে






গেছে ক্রিকেট। কোনো টার্গেটই এখন আর অসম্ভব নয়। কিন্তু, এই যুগেও ১৪০-১৫০ রানে আটকে আছে বাংলাদেশ। সীমাবদ্ধতা পেরোনোর উপায় খোঁজা হচ্ছে হন্যে হয়ে। এ বিষয়ে সুজন বলেন,






‘সবাইকে সবার দায়িত্ব আমরা বুঝিয়ে দেব। আমরা কার কাছ থেকে কী চাচ্ছি, সেটা পরিষ্কারভাবে বলে দিব। কারণ ১০৬-১২০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে আপনি জিততে পারবেন না। আপনার স্ট্রাইক






রেট ১৪০-১৫০ হতে হবে। আপনি যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনুসরণ করেন তাহলে দেখবেন, যারা বড় টিম তাদের ‘নাম্বার সিক্স-সেভেন’ কোনো স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে। কিংবা তাদের টপ অর্ডার কি
স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে।’ জোর গলায় যতো কথাই বলা হোক, এশিয়া কাপের টিম কম্বিনেশন নিয়ে নির্ভার থাকতে পারছে না বোর্ড। ১৭ সদস্যের স্কোয়াডে স্বীকৃত ওপেনার মোটে ২ জন- বিজয়
আর ইমন। মাহমুদউল্লাহর কম স্ট্রাইকরেইট আর আফিফের পরিণত ব্যাটিংয়ে মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারের কম্বিনেশন নিয়েও ভাবতে হচ্ছে নতুন করে। সুজন বলেন, ‘কোনো সময় ১০ বলে ৩০
রান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওই ক্যামিওগুলো কে খেলবে বা আমাদের শুরুটা কী হবে, এ পরিকল্পনাগুলো খুব স্পষ্টভাবে আমরা খেলোয়াড়দের বলে দিতে চাই। কোনো ম্যাচে দায়িত্ব হয়তো ভিন্ন
রকম থাকবে। কেউ একদিন হয়তো ওপেন করবে, আবার একদিন হয়তো চার নম্বরে ব্যাটিং করবে। ওটা পরিস্থিতি ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় হবে।’ গুঞ্জন আছে, অনেকের জন্য এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি
দলে টিকে থাকার শেষ সুযোগ। যে তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম মাহমুদউল্লাহ। যার অধিনায়কত্বে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে টাইগাররা, তিনিই যেনো এখন ব্রাত্য। পালাবদলের এই
প্রক্রিয়ায় ড্রেসিংরুমকে শান্ত রাখতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বোর্ডকে। সব পেছনে ফেলে নতুন নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টিতে নতুন দিনের আশায় নীতি নির্ধারকরা।