ফজল হক ফারুকির তোপে মোহাম্মদ নেওয়াজ, খুশদিল শাহ বোল্ড। ১৮তম ওভারে বড় ধাক্কা পড়ল পাকিস্তানের রান তাড়ার মিশনে। পরের ওভারে ফরিদ আহমেদ দ্বিতীয় বলেই হারিস রউফকে বোল্ড করেন। তখনও পাকিস্তানের আশা অটুট। কারণ অপরপ্রান্তে যে আসিফ আলী আছেন। স্ট্রাইকে এসেই আসিফ মারলেন বিশাল ছক্কা।






কিন্তু পরের বলেই পাশার দান উল্টে দেন ফরিদ। আফগান এই পেসারের বাউন্সারে ক্যাচ দিলেন আসিফ। ৯ উইকেট হারিয়ে হারের দুয়ারে পাকিস্তান। শেষ ওভারে দরকার ১১ রান। উইকেটে নাসিম শাহ-হাসনাইনের শেষ জুটি।






পরের দুই বলে যে এমন অবিশ্বাস্য স্ক্রিপ্ট লিখে রেখেছেন ক্রিকেট বিধাতা, তা কেইবা জানতো। রোমাঞ্চের চূড়ায় পৌঁছে যায় ম্যাচ। কারণ ফারুকির প্রথম বলে সজোরে ছক্কা মারেন নাসিম শাহ। ইয়র্কার করতে গিয়ে ফুলটস দেন এই আফগান বাঁহাতি পেসার। পরের বলেও ইয়র্কার মিস এবং ফুলটস। নাসিমের ব্যাটের তোড়ে বল রশিদ খানের মাথার উপর দিয়ে সীমানার বাইরে।






বুধবার শারজা স্টেডিয়ামে মুহূর্তের ঝড়ে আফগানদের স্বপ্ন ধূলিস্মাৎ হয়ে গেল। ১ উইকেটের শ্বাসরোধী জয়ে ফাইনালে উঠে গেল পাকিস্তান। ভারতকে নিয়ে বিদায় নিয়েছে আফগানরা।






ম্যাচের পর পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বলেছেন, নাসিমের দুই ছক্কা তাকে ৩৬ বছর আগে শারজায় জাভেদ মিঁয়াদাদের মারা ছক্কার স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে। ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলিয়েশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৪ রান। কিংবদন্তি জাভেদ মিঁয়াদাদ চেতন শর্মাকে মেরেছিলেন বিশাল ছক্কা।






ম্যাচের পর ইনিংসের শেষ ওভারের সময় মনের অবস্থা জানাতে গিয়ে বাবর বলেছেন, ‘আমি ড্রেসিংরুমে ছিলাম। কিন্তু ভেতরে ভেতরে মনে হয়েছে এটা ক্রিকেট। এবং নাসিমকে এমন ব্যাটিং করতে দেখেছি। তাই আমার মাঝে সামান্য বিশ্বাস ছিল। এটা আমাকে জাভেদ মিঁয়াদাদের ছক্কার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।’