





দীর্ঘ ক্যারিয়ারে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এতদিন কোনো সেঞ্চুরি ছিল না ইফতিখার আহমেদের। এবার সেই আক্ষেপ ঘুচেছে এই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে সেই






আরাধ্য তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন তিনি। আর তাতেই এই ব্যাটারের স্বপ্ন যেন বাস্তবে এসে ধরা দিয়েছে। রংপুরের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন দুই






ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ এবং এনামুল হক বিজয়। তবে এই দুই ব্যাটারের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে বিজয়কে সাজঘরে ফিরিয়ে বরিশাল শিবিরে






প্রথম আঘাত হানেন হারিফ রউফ। একই ওভারের চতুর্থ বলে ইব্রাহিম জাদরানকেও ফিরিয়েছেন এই পাকিস্তানি পেসার। পঞ্চম ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর, পরের ওভারেই আরও দুই






উইকেট হারায় বরিশাল। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে ফিরেছেন যথাক্রমে মিরাজ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর তাতে ৪৬ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় সাকিব আল হাসানের দল।






এমন পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তোলেন সাকিব আল হাসান এবং ইফতিখার আহমেদ। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের ১৯২ রানের জুটিতে আবারও ম্যাচে ফেরে বরিশাল। যেখানে শামিম পাটুয়ারীকে






১৩তম ওভারে চার ছক্কা হাঁকান ইফতিখার। ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। আর সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ৪৫ বলে। শেষ পর্যন্ত ৪ চার ও ৯ ছক্কায় ৪৫ বলে ১০০ রান করে






অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর সাকিব অপরাজিত ছিলেন ৪৩ বলে ৮৯ রান করে। ম্যাচ শেষে ইফতিখার বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে একটা স্বপ্ন থাকে যে সব সংস্করণে সেঞ্চুরি করব। উইকেটে






সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে এটি নিয়ে কথা হচ্ছিল যে, সেঞ্চুরি করার স্বপ্ন আমার। তিনিও সাপোর্ট দিলেন, ‘আপনি এগিয়ে যান, যেভাবে খেলতে চান, সেভাবে খেলুন।’ শেষ পর্যন্ত সেটা অর্জন করতে






পেরেছি।’ একটা সময় দুইজনই সমান তালে এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে ইফতিখার শেষ দিকে বেশি বল খেলতে পারায় তিনিই সেঞ্চুরিটা পেয়ে যান। সেখানে সেঞ্চুরি করার সম্ভাবনা ছিল






সাকিবেরও। ইফতিখার বলেন, ‘যখন ৫০ করলাম, তখন সাকিব ভাইকে বললাম, ‘আমি শতরানের দিকে ছুটব।’ তিনিও সাপোর্ট করে বলছিলেন, ‘আমি আপনাকে সুযোগ দেব, একশর দিকে যান।’ ওভাবেই হয়ে গেল।’