নির্বাচকদের টনক নড়িয়ে দিয়ে বিসিএলে ব্যাট হাতে ঝড়ো ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দলে ফিরতে চলেছেন সাদমান

ক্যারিয়ারের প্রথমবার ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তরুণ ব্যাটার সাদমান ইসলাম। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে দুর্দান্ত ইনিংসটি খেলার পথে তিনি গড়েছেন নতুন রেকর্ডও।অসাধারণ ব্যাট করে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের

বিপক্ষে এক মাত্র টেস্টে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন এই ব্যাটার। ম্যাচটি আগামী ৪ এপ্রিল মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে।চোট থেকে ফিরে বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে সেঞ্চুরি তুলে খানিকটা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন সাদমান ইসলাম। ফাইনালের প্রথম

দিনে সেঞ্চুরি করে নিজের ফেরার গল্পটা আরও জোরালো করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তৃতীয় রাউন্ডে সেঞ্চুরির পর থামলেও এবার ছিলেন দুর্দান্ত।ক্যারিয়ারের প্রথম শ্রেণিতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির পর ২৪৬ রানে থামেন সাদমান। বাঁহাতি এই

ওপেনার সঙ্গে মার্শাল আইয়ুবের অপরাজিত ১২০ এবং ফজলে মাহমুদ রাব্বির ৬১ রান। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ৫০০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বিসিবি সাউথ জোন। জবাব দিতে নেমে বিসিবি সেন্ট্রাল জোন তুলেছে বিনা উইকেটে ৩৩ রান।

সৌম্য সরকারের বলে ডিপ পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে এক রান নিয়ে ২৯৭ বলে দেড়শ করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিতে থাকেন মার্শাল।এদিকে দ্বিতীয় সেশনে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন সাদমান।

শুভাগত হোমের বলে কভারে ঠেলে দিয়ে এক রান নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তাতে ৩৯৪ বলে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় তার।সেই সঙ্গে এদিন ছাপিয়ে গেছেন নিজের আগের সর্বোচ্চ ১৮৯ রানের ইনিংস। ২০১৮ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঢাকা বিভাগের

বিপক্ষে ইনিংসটি খেলেছিলেন সাদমান। এদিকে সাদমানের ডাবল সেঞ্চুরির পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্শাল।হাসান মুরাদের বলে কভারে ঠেলে দিয়ে তিন রান নিয়ে ১৪১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সেই মুরাদকেও ডিপ

এক্সট্রা কভার দিয়ে চার মেরে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন মার্শাল।সেঞ্চুরি করতে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার খেলেছেন ১৯৭ বল। এদিকে আড়াইশ ছোঁয়ার খুব কাছে ছিলেন সাদমান। তবে মোহাম্মদ মিঠুনের বলে জাকেরের গ্লাভসে দিয়ে ২৪৬ রানে

ফিরে যেতে হয় তাকে।মঈন খানকে সঙ্গে নিয়ে দলে সাউথ জোনের রান ৫০০ তে নিয়ে যান মার্শাল। ডানহাতি এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১২০ রানে। বিসিবি সেন্ট্রাল জোনের হয়ে মুরাদ দুটি এবং একটি করে উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক এবং মিঠুন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বিসিবি সাউথ জোন- ৫০০/৫ (১৬১.৪ ওভার) (সাদমান ২৪৬, মার্শাল ১২০*, ফজলে রাব্বি ৬১; মুরাদ ২/১৪৭, আবু হায়দার ১/৭০)

বিসিবি সেন্ট্রাল জোন- ৩৩/০ (১১ ওভার) (মজিদ ১৬*, সৌম্য ১৫*)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *