নীরব ঘাতক মাহমুদউল্লাহর জন্য হাথুরুসিংহের হাত দিয়েই অন্যরকম আয়োজন করতে যাচ্ছে বিসিবি!

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে মাঠ থেকে বিদায় বলার রেওয়াজ নেই খুব এক একটা। খুব কম ক্রিকেটারই মাঠ থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ড ও ক্রিকেটার দুই পক্ষই

সমানভাবে দায়ী কি না এমন প্রশ্ন উঠছে সাম্প্রতিক সময়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আরেক দফা জানালেন ক্রিকেটাররা আগে থেকে জানালে বড়সড়

কিছু করতে সবসময় তারা প্রস্তুত। দেশের ক্রিকেটে সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিদায় জানাতে বোর্ডের তরফ থেকে ভালো কিছুর প্রস্তাব ছিল সবসময়। অন্তত বোর্ড সভাপতি পাপন সংবাদ মাধ্যমে

নিয়মিত এমনটাই বলে আসছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট ফরম্যাটে নীরব ঘাতক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নির্ভরযোগ্য মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালদের বিদায় ভালো কোনো বার্তা দেয়নি। বেশিরভাগের

ক্ষেত্রে বোর্ড আগে থেকে জানতেও পারেনি। বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টেস্ট অবসর বেশ চমকে দিয়েছিল নাজমুল হাসান পাপনকে। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে হারারে টেস্ট

চলাকালীন হুট করেই ঘোষণা দেন বিদায়ের। এ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি পরে। সেসব পেছনে ফেলে নতুন করে সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছে বোর্ড। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে শুরু হচ্ছে নতুন

মিশন। সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভবিষ্যত নিয়ে হচ্ছে আরেক দফা আলোচনা। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাপন জানিয়েছেন সিনিয়রদের বিদায়ের ব্যাপারে আগে থেকে

জানতে চান। এমন বার্তা ক্রিকেটারদেরও দেওয়া হয়েছ। এখনো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যাওয়া রিয়াদকেতো ডেকে নিয়ে কথাও বলেছেন। তবে বিসিবি সভাপতি অনেকটা নিশ্চিত এবারও

নিজের অবসর নিয়ে তাকে আগাম কিছু জানাবে না রিয়াদ। তিনি বলেন, ‘আমি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ডেকেছি কিছুদিন আগে আর বলেছি যদি তোমার কোনো অবসর পরিকল্পনা থাকে দয়া করে

আমাদের জানাও।’ ‘কারণ আমরা এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত যেখানে তুমি একটা সিরিজ খেলে অবসরে যেতে পারো। সে বলেছে আমাকে জানাবে কিন্তু আমি জানি সে আমাকে জানাবে না।

এখনো পর্যন্ত কেবল তামিম ইকবাল জানিয়েছে আমাকে।’ টেস্ট ফরম্যাটে বিদায় বলার আগেও যদি জানাতো তবে ভালো কিছু ব্যবস্থা করা যেতো বলছেন বিসিবি সভাপতি। এমনকি এখনো অন্য

ফরম্যাটগুলোতে আগে জানালে মালিঙ্গা-টেন্ডুলকারের মতো বিদায় দিতে প্রস্তুত বিসিবি। পাপন যোগ করেন, ‘এখনকার সময় এটা খুব কঠিন কারণ তিনটা ভিন্ন ফরম্যাটে খেলা হয়। কীভাবে

আপনি তিনটি ভিন্ন ফরম্যাটে বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন? উদাহরণ হিসেবে বলি, যদি সে (রিয়াদ) যখন টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছে তখন যদি আমাদের জানাতো তাহলে আমরা ম্যাচের

আগে ঘোষণা দিতে পারতাম,সাথে কিছু আয়োজনও করা যেত।’ ‘যদি সে অনুভব করে যে টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডে থেকে অবসরে যাবে তাহলে আমরা মালিঙ্গা বা টেন্ডুলকারের মতো বিদায় বেলায়

কিছু করার চেহটা করতাম। যদি খেলোয়াড়েরা নিজেরা এটা না চায় তবে এটা তাদের ব্যাপার কিন্তু বার্তা সবসময় পরিষ্কার আমরা ভালোভাবে বিদায় জানাতে চাই। মাশরাফিকে আমি অনেকবার

জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু সে নিজে চায় না আবার এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়ও বলছে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *