




গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে সদ্যসমাপ্ত বিপিএল কোথাও কথা বলেনি সৌম্য সরকারের ব্যাট। এ পুরো সময়জুড়ে স্ট্রাইক রেট যাই হোক না কেন, গড় পার হয়নি ১৫-এর কোটা।





এ অবস্থায় তার জন্য আরেকবার জাতীয় দলে ফিরে আসা অনেকটাই কঠিন বলে মনে করেন খালেদ মাহমুদ সুজন। সৌম্য সরকার, বাংলাদেশ ক্রিকেটের খসে পড়া এক তারা। হাজারো





স্বপ্ন নিয়ে যিনি এসেছিলেন ২০১৫ বিশ্বকাপের ঠিক আগে আগে। প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত কিছু নমুনা দেখা গিয়েছিল সেদিনের সে বাঁহাতি ব্যাটারের মধ্যে। তাই তো অনেকের মতের বিপরীতে গিয়েই





সৌম্যকে দলে নিয়েছিলেন তৎকালীন কোচ হাথুরুসিংহে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটেই ছিলেন সেরা পছন্দ। কিন্তু দিনের পর দিন ফর্মহীনতা তার





ওপর থেকে বিশ্বাস হারাতে বাধ্য করেছে সবাইকে। মাঝে ব্যাটিং পজিশন নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হলেও কোথাও থিতু হতে পারেননি সৌম্য। একটা সময় অবস্থা এতটাই বেগতিক ছিল যে,





প্রিমিয়ার লিগেও ক্লাবের সেরা একাদশে জায়গা হারান সৌম্য সরকার। তবে এরপরও অনেকেই বিশ্বাস রেখেছিলেন তার প্রতি। যে কারণেই অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি আসরে জায়গা পেয়ে যান তিনি।





কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ প্রতিবারের মতোই। ৪ ম্যাচ খেলে রান করেছিলেন ৪৯। স্ট্রাইক রেট ১২৫ এর ঘরে হলেও, গড় ছিল সাকুল্যে ১২.২৫৪। অনেকেই ভেবেছিলেন সেটাই মনে হয়





শেষ সৌম্যের। কিন্তু বিপিএলে তার ওপর আবারও ভরসা রাখে ঢাকা ডমিনেটর্স। কিন্তু সৌম্য রয়ে গেলেন তার আগের রূপেই। ১২ ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে রান করেছেন কেবল ১৭৪।





এবার গড় দুই বাড়লেও স্ট্রাইক রেটের পতন ১০৮-এ। একটা ফিফটি মারলেও তার জন্য খেলেছেন ৪৫ বল। অনুমিতভাবেই তাই তিনি আবারও বিবেচনার বাইরে। কিন্তু বিপিএলে ভালো না করলেও





খেপের ক্রিকেটে বেশ ভালোই চলে সৌম্যর ব্যাট। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত এক টুর্নামেন্টে ৩৫ বলে ৮২ রান করে দলকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন সৌম্য





সরকার। তাই তো সাবেক গুরু হাথুরু নতুন করে দায়িত্ব নেয়ার দিনে আবারও প্রশ্ন, সৌম্যর দিন কি আসলেই শেষ? বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন এতটা কঠোর নন ভাবনা-চিন্তায়।





তবে আশাও করেন না আগের মতো। সুজন বলেন, ‘চ্যালেঞ্জটা ওকেই নিতে হবে। দিনের শেষে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার শর্ত পারফরম্যান্স। পারফর্ম করতে না পারলে আপনি দলে সুযোগ





পাবেন না, খুবই স্বাভাবিক। এখন কেউ যদি আপনার চেয়ে বেটার খেলে তাকেই সুযোগ দেয়া হবে। এটা সৌম্যর জন্য চ্যালেঞ্জ কতটা কষ্ট করবে, কী করবে!’