




ওয়ানডে ক্রিকেটে তার আরও তিনটি সেঞ্চুরি আছে। প্রথম শতক নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২০২২ সলের ১৭ জুন আমস্টার্ডামে (১০৯ বলে ১২৫)। ওই ম্যাচে ফিল সল্ট (৯৩ বলে ১২২) আর





জস বাটলারও (৭০ বলে ১৬২) সেঞ্চুরি করেছিলেন। ইংল্যান্ডও পায় বড় জয়। এরপর ২০২২ সালের ১৭ জুন অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১২৮ বলে ১৩৪ রান করে ম্যাচসেরার পুরস্কার।





কিন্তু দল জেতেনি। অস্ট্রেলিয়া জয়ী হয় ৬ উইকেটে। এ বছর ১ ফেব্রুয়ারি কিম্বার্লিতে দক্ষিণ অফ্রিকার বিপক্ষে আরেকটি সেঞ্চুরি। এবার ১১৪ বলে ১১৮ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ইংল্যান্ড





জিতলেও শতক উপহার দিয়েও ম্যাচ সেরা হতে পারেননি মালান। ম্যাচসেরা হন দলের অধিনায়ক জস বাটলার (১২৭ বলে ৭ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে ১৩১)। আজ আর তেমন হয়নি। ম্যাচ





জেতানো শতরানের পাশাপাশি মালানের হাতে উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও। সংখ্যাতত্ত্বে আজ এ ইংলিশ টপ অর্ডারের চার নম্বর ওয়ানডে শতক। কিন্তু শেরে বাংলায় বাংলাদেশের বিপক্ষে





করা শতরানের ইনিংসটি অন্যরকম। ৩৫ বছর বয়সী এ ইংলিশ মনে করেন, তার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস এটি। এমন এক ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পেছনে তার বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগ





ও বিপিএলের বড় অবদান দেখছেন মালান। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলার গল্প শুনিয়ে মালান বলেন, ‘সেটা ২০১৩ সালের ঘটনা। ইংলিশ ক্রিকেটার ওয়াইজ শাহ আরেক ক্রিকেটার রবি বোপারার





মাধ্যমে আমাকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলার অফার দেন। আমি তা গ্রহণ করি। ২ বছর প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলি। সেটা আমার খেলোয়াড়ি জীবনেই অনেক কাজে





দিয়েছে।’ কিভাবে কাজে দিয়েছে সেই ব্যাখ্যাও দেন মালান, ‘ইংল্যান্ডে স্কোয়ার অফ দ্য উইকেটে খেলা যায়। কিন্তু এখানে বল দিনের বেলা স্কিড করে। কিন্তু আবার শেষ বিকেলে স্লথ হয়ে আসে।





আমি সেখান থেকে শিখেছি কিভাবে ভিন্ন পরিবেশে স্পিন খেলা যায়। এটা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার আগের অভিজ্ঞতা। যা আমার ব্যাটিংয়ে দারুণ কাজে দিয়েছে।’ মালান যোগ করেন,





‘আমি এদেশে খেলে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। এখানকার উইকেটে ব্যাট করা সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে শুরুতে স্বচ্ছন্দে খেলা কঠিন। শিশির পড়ার পর একটু সহজ হয়ে যায় উইকেট।’





মালান বোঝাতে চেষ্টা করেন, দীর্ঘ সময় ক্রিজে থাকতে পারলে এখানে লম্বা ইনিংস খেলা যায়। যেমনটা তিনি খেলেছেন আজ। ওয়ান ডাউন নেমে ১৪৫ বল খেলে ১১৪ রানে নট আউট থেকে দল জিতিয়ে ফিরেছেন বিজয়ীর বেশে।