বিপিএল কাঁপানো দুর্ভাগা নাসিরকে যে কারনে টি-২০ দলে ডাক পাননি জানালেন নান্নু

গত মাসে শেষ হয়ে কাওয়া বাংলাদেশের সব থেকে বড়ো ঘরোয়া আসর বিপিএলের নবম আসরে ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে কেড়েছেন বিসিবির নির্বাচকদের নজর। ভক্তদের

প্রশংসাও পেয়েছেন বেশ। কিন্তু বিপিএলের ভালো করা একাধিক ক্রিকেটারকে নিয়ে ইংল্যান্ড সিরিজের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করা হলেও নেই নাসিরের নাম। কেন এমন অলরাউন্ডিং

পারফরম্যান্স করেও দলে সুযোগ পেলেন না নাসির? এমন প্রশ্ন ক্রিকেট পাড়ার সবার। তবে অবশেষে ব্যাখা দিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। আজ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ)

সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান নির্বাচক নান্নু জানান, ‘কিছু কিছু প্লেয়ারকে বিবেচনা করা হয়েছে প্লেস বাই প্লেস। সেই হিসেবে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বলেন, লেট অর্ডার বলেন,

অনেক চিন্তাভাবনা করেই দলটা তৈরি করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ও (নাসির) সুযোগ পায়নি। সামনে অনেক খেলা আছে, পারফর্ম করলে কেউ চোখের আড়াল হবে না।’ বয়সের কারণে

কি দলে সুযোগ পান নি নাসির? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে নান্নুর জবাব, ‘এখানে বয়স কোনো বিষয় নয়, সবচেয়ে বড় বিষয় আপনার ফিটনেস। ফিটনেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখন এত বেশি

আন্তর্জাতিক খেলা হয়, পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্জাইজি ক্রিকেট থাকে, ঘরোয়া ক্রিকেট থাকে। তাই ফিটনেস ধরে রাখা খুবই প্রয়োজন। ওই জায়গায় কতটুকু নিজেকে ফিট রাখতে পারে এটাই মূল

বিষয়।’ নান্নু আরও বলেন, ‘বয়স না তার পারফরম্যান্স অনেক ভালো। আপনি দেখবেন অনেক খেলোয়াড়কে আমরা সুযোগ দিয়েছি। সমালোচনা-আলোচনা সবই হয় বাইরে থেকে।

বিপিএলের অনেকগুলো খেলোয়াড় অনেক ভালো পারফর্ম করেছে। এটা মাথায় রেখে আমরা আগাচ্ছি। তাই আগামী ১ বছরের জন্য কিছু খেলোয়াড়কে আমরা যুক্ত করছি, যেটা ২২-২৪ জন

হতে পারে। এদেরকে নিয়ে আমরা একটা পরিকল্পনা রয়েছে।’ ২০১৮ সালে জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন নাসির। এরপর যে লম্বা বিরতি, সেটি মূলত ফর্মের

কারণেই। নাসিরের ছায়াসঙ্গী হয়েছে মাঠের বাইরের বিতর্কও। চোটের কারণে লম্বা সময় ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলতে পারেননি। একটা সময় মনে হয়েছে, আসলেই হয়তো ‘ফিনিশ’ হয়ে গেছেন

নাসির। বিপিএলের নবম আসর সে ভুলটাই ভেঙে দিল। বিপিএলের নবম আসরে ঢাকার অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন নাসির। দলকে ভালো কোনো অবস্থানে নিতে না পারলেও ব্যক্তিগত

পারফরম্যান্সে আলো ছড়িয়েছেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ১২ ম্যাচে ৪৫.৭৫ গড়ে ৩৬৬ রানের পাশাপাশি ৬.৮ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। দলকে সেমিতে নিতে পারলে

হয়তো জিততে পারতেন আসরসেরার পুরস্কারও। ১২ ম্যাচের মধ্যে ঢাকার তিনটি জয়ে নাসিরই ছিলেন প্রাণভোমরা। এমন পারফরম্যান্সের পর নির্বাচকরাও শুনিয়েছিলেন নাসিরকে

নিয়ে আশার বাণী। কিন্তু সেই বাণী ফলেনি কাগজে-কলমে। নাসির অবহেলিত হলেও নবম বিপিএলে ব্যাট-বল হাতে আলো ছড়িয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পেছেন তৌহিদ হৃদয়, তানভীর ইসলাম

ও রনি তালুকদার। একাধিক চমক নিয়ে দল গড়লেও নাম নেই শুধু নাসিরের। তাতে হয়ত নিজেকে হয়তো দুর্ভাগাই মনে করছেন নাসির!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *