ডোমিঙ্গোর দাবি সত্য নয়, বিসিবি চাইলেই উচ্চস্বরে এমন দাবি করতে পারে। এশিয়া কাপ দিয়ে নতুন রূপে উন্মোচন করতে চাইছে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল। তবে এই নতুন শুরুর সময়ে অবাধে খেলার সার্টিফিকেট পেয়েছেন ক্রিকেটাররা।






কয়েকদিন আগে রাসেল ডোমিঙ্গো বোর্ডের কর্মকর্তাদের ওপর বোমা মেরেছিলেন। জাতীয় দলের প্রধান কোচ এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, ক্রিকেট সবসময় নিয়ন্ত্রিত ও নিয়ন্ত্রিত। এ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। ডোমিঙ্গোর






বক্তব্য ঝড় তুলেছিল দেশটির ক্রিকেট অঙ্গনে।ডমিঙ্গোর দাবি যে সত্য নয়, বিসিবি এখন চাইলে জোর গলায় এমন দাবি জানাতেই পারে। এশিয়া কাপ দিয়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলকে নতুন চেহারায় উন্মোচনের প্রয়াস চলছে। তবে এই নতুন






শুরুর ক্ষণেও ক্রিকেটাররা পেয়েছেন স্বাধীনভাবে খেলার সনদ।বোর্ড প্রধান, ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান, নির্বাচক প্যানেল কিংবা টিম ডিরেক্টর- এশিয়া কাপে দল সাথে পাচ্ছে বেশ কয়েকজন ‘থিংক ট্যাংক’কে। তারা সবাই একটাই বার্তা দিয়েছেন






দলকে- খোলা মনে খেলতে হবে ভয়হীন ক্রিকেট। নির্বাচক হাবিবুল বাশার জানালেন, ‘প্রথমত, খেলোয়াড়রা যেন খোলা মনে নিশ্চিন্তে খেলে। অনেককেই দেখবেন দলের সাথে কাজ করছে। দিনশেষে খেলোয়াড়দের ওপরই সবকিছু নির্ভর করে।
খেলোয়াড়রা যেন কোনো বিষয়ে ওভার থিঙ্কিং না করে সেই চেষ্টা করা হবে। অনেক হেভি কিছু করার নেই। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলেই হবে। এজন্য খেলোয়াড়দের নির্ভার রাখতে হবে। তারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারে।
সেই চেষ্টা আমরা সবাই করে থাকি।’বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড টি-টোয়েন্টি দলকে আমূলে বদলে ফেলার যে উদ্যোগ হাতে নিয়েছে, তার বড় প্রমাণ কোচিং প্যানেলে পরিবর্তন। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে বসিয়ে টি-টোয়েন্টি দল তুলে দেওয়া
হয়েছে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামের হাতে। বাশার জানালেন, আগে থেকে হোমওয়ার্ক করে এসে দল নিয়ে বেশ ভালো গতিতেই এগোচ্ছেন শ্রীধরন।’সে বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব ভালো জানেন। আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে কাজ
করেছে। বাংলাদেশের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা সম্পর্কে জানে। প্রশিক্ষকের জন্য শক্তি, দুর্বলতা, কোন জায়গা নিয়ে কাজ করতে হবে এসব জানা জরুরী। এসব নিয়ে দলের সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশে আসার আগে বেশ ভালো হোমওয়ার্ক করে
এসেছিল। যে অল্প সময় পেয়েছে, মোটামুটি পরিস্কার একটা ধারণা নিয়ে ছেলেদের সাথে কথা বলেছেন। আশা করছি এটার একটা ফল পাব।’তবে শেষপর্যন্ত দলের খেলায় পরিবর্তন কতটা এসেছে, তা বোঝা যাবে পারফরম্যান্স দেখে। বাশার বলেন,
‘অনুশীলনে সবাই খোলা মনে সেরাটা খেলতে পারে। কতটা পরিবর্তন করতে পেরেছি বা কতটা খেলতে পারছি এটা ম্যাচের দিনই বোঝা যাবে। সবাই এই টুর্নামেন্টে বিশেষ কিছু করতে চাচ্ছে। আমাদের জন্য সুপার ফোরে যাওয়া কঠিন একটা পরীক্ষা। আমাদের গ্রুপ এমন যে একটা ভালো দল বাদ পড়ে যাবে। ভুল করার সুযোগ নেই। আশা করছি ম্যাচে প্রতিফলন দেখতে পাব।’