বাংলাদেশের সবচেয়ে ত্যাগি ক্রিকেটার মাহমুদউ*ল্লাহ রিয়াদ। তার পেছনে যথেষ্ট কারণ আছে। মাহমুদউল্লাহ আসলে কিন্তু প্রথম একজন ফিনিসার ছিলেন না। কিন্তু দলের প্রয়োজনে ফিনি*সারের






দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যদি উপরের দিকে ব্যাটিং করতেন তাহলে তার নামের পাশে আজকে তামিম সাকিবের মত ১২-১৪ হাজার রান থাকতো। রিয়াদের এই ত্যাগ নিয়ে করোনার সময় তামি*মের






ফেসবুক লাইভে এসে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বলেছিলেন যে বাংলাদেশের সবচেয়ে ত্যাগি ক্রিকেটার রিয়াদ। তার পেছনে তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে আসলে রিয়াদ






হলো টপ অর্ডার ব্যাটার দলের প্রয়োজনে তাকে ফিনিসারের রোল পালন করতে হচ্ছে। তার প্রমাণ হলো ২০১৫ বিশ্বকাপ তিন নম্বরে ব্যাটিং করে টানা দুই সেঞ্চুরি তুলে নেন। এরপর আইসিসি চ্যাম্পি*য়ন্স






ট্রফিতেই সেঞ্চু*রি তুলে নেন। কিন্ত এর পরও তাকে দলে ফিনিসারের অভাব বলে আবারও তাকে ফিনিসারের দায়িত্ব দেয়া হয়। আর সেই রিয়াদকে আজ বাদ দিয়ে দিচ্ছে কোনো রকম শ্রদ্ধা ছাড়াই।






২০০৭ সালের ২৫ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। বাংলাদেশের পক্ষে ক্রিকেট বিশ্বকাপে প্রথম সে*ঞ্চুরি (১০৩) করার গৌরব অর্জন করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রথম






বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন তিনি। ২০০৯ সালের ৯ জুলাই আর্নো*স ভ্যাল স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডি*জের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে তার টেস্ট






অভিষেক ঘটে। সে ম্যাচে তিনি তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টেস্ট অভিষেকে পাঁচ উইকেট লাভ করেন এবং বাংলাদেশকে জয় এনে দেন। ২০১৫ সালের ৫ মার্চ স্কটল্যা*ন্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের
চতুর্থ খেলায় তামিম ইকবালের সঙ্গে ১৩৯ রানে জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরবর্তীতে সাকিব, মুশফিকের অনন্য নৈপুণ্যে ওই খেলায় বাংলাদেশ দল বিশাল রান তাড়া করে ৬ উইকেটের
কৃতিত্বপূর্ণ জয়লাভ করে। এর ফলে বাংলাদেশ সফলভাবে একদিনের আন্ত*র্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে বিজয়ী হয়। ২০১৫ সালের ৯ মার্চে অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের পঞ্চম
খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক সেঞ্চুরি করেন রিয়াদ। এটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বাংলা*দেশি ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে
বিশ্বকাপের যেকোনো উইকেটে মুশফি*কুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ১৪১ রানের সর্বোচ্চ জুটি গড়ার রেকর্ড মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ২০১৫ সালে একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ
মারুফ-দলগতভাবে সর্বোচ্চ রান তোলে। পরবর্তীতে রুবেল হোসেনের প্রশংসনীয় বোলিংয়ে (৪/৫৩) বাংলাদেশ ১৫ রানের ব্যবধানে জয়ী হওয়াসহ কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়। ওই খেলায় তিনি ম্যান
অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালের ১৩ মার্চ সেডন পার্কে গ্রুপ পর্বে দলের সবশেষ খেলায় নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ১২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ও নিজস্ব দ্বিতীয় শতরান
করেন। এ খেলায় তিনি বিশ্বকাপে ধারাবা*হিকভাবে দুই খেলায় শতক হাঁকানোর গৌরব অর্জন করেন; যা এর আগে কোনো বাংলাদেশি খোলো*য়াড় করতে পারেননি।