





রাজশাহীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে বায়া পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মিজানুর রহমানকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে সাধারণ জনতা। সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোজুর কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।






এসময় মিজানুর নামে ওই পুলিশের সঙ্গে থাকা অপরজন পালিয়ে যায়।স্থানীয়দের দাবি পুলিশের এই সদস্য এভাবে চাঁদাবাজি করে চলেছেন বহুদিন থেকে। রোববার হেতেম খাঁ সবজিপাড়া এলাকার ভিলা ছাত্রাবাসের এক ছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে






দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নগদ ছয় হাজার টাকা নিয়ে যান।সোমবার রাতে দশ হাজার টাকা নেওয়ার সময় এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরে গণধোলায় দিয়ে বোয়ালিয়া থানার পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। জনতার হাত থেকে রক্ষা করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে






দেয় ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোজাম্মেল হক তোজু।জানতে চাইলে কাউন্সিলর তোজু বলেন, আমার এলাকার এক শিক্ষার্থীকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ ভয়ভীতি দেখায় কন্সটেবল মিজান। ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসিয়ে দেবার






ভয় দেখিয়ে কিছু টাকাও হাতিয়ে নেয় সে। পরে আবারও তার কাছে ১০ হাজার টাকা অর্থ দাবি করেন ওই পুলিশ কন্সটেবল। পরে বিষয়টি এলাকার মানুষের কানে গেলে তারা ওই পুলিশ সদস্যের কাছে গোয়েন্দা পুলিশ হবার প্রমাণ চাই। তিনি প্রমাণ না
দিতে পারায় তার সাথের এক সহযোগি ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। পরে তাকে ভুয়া পুলিশ ভেবে জনগণ গণপিটুনি দেয়। বিষয় জানার পরপরই আমি ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে আমার চেম্বারে নিয়ে আনি। পরে সব ঘটনা শোনার পর তাকে
মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের কাছে হস্তান্তর করি।স্থানীয় সূত্র জানায়, পুলিশের এমন চাঁদাবাজির ঘটনায় এলাকাবাসী প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। কন্সটেবল মিজানকে যখন পুলিশের ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন অধিকাংশ জনতায় পুলিশকে হেয়
করে কথা বলতে থাকেন।তবে এরই মধ্যে কন্সটেবল মিজানকে থানা হেফাজতে নেওয়ার ১৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে মিজান মুখ লুকিয়ে হাটতে থাকেন। ওই সময় এক যুবক বলেন, ‘এই ছিহঃ লজ্জা করা
দরকার, লজ্জা কর ছিঃ। পাশ থেকে এক মহিলা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, ভালো করে ছবি তুলো, ভালো করে। যেনো দ্যাখা যায় তাকে।’এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জানার জন্য ফোন করা হয় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) নগর মুখপাত্র মো. রফিকুল আলমকে। তবে তিনি ফোন না ধরায় কোন মন্তব্য মেলেনি।