টেষ্টে বাংলাদেশের অবস্থা একেবারে নড়বড়ে। টেষ্টে বাংলাদেশ তেমন পারফর্ম করতে পারেনা। বিশেষ কররে বিদেশের মাটিতে টেষ্ট খেলতে গেলে বাংলাদেশের অবস্থা হয় একেবারে নাজেহাল।






যার কারনে বিদেশের মাটিতে হওয়া টেস্টে ইনিংস পরাজয়ের শোচনীয় হারের স্বাদ নিতে হয়েছে বেশ কয়েকবার। অধিনায়ক বদল করেও টেষ্টে কোণো সাফল্য আনতে পারেনি টাইগাররা। তবে এবার টেষ্টে সাফল্য আনতে অন্যরকম একটা সিদ্ধান্ত নিলো বিসিবি।






তা হলো ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিউক বলের ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। আসন্ন ঘরোয়া মৌসুমে ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগেই ব্যবহার করা হবে এই ডিউক বল। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যাতে করে এই বলের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেন সেই লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।






বিসিবি জানিয়েছে, সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথমবার ডিউক বলের ব্যবহার করেন টাইগাররা। বলটি দিয়ে খেলে তারা এর সঙ্গে অন্যান্য বলের খুঁটিনাটি পার্থক্য অনুভব করেন। বিষয়টি বিসিবিকে জানায় ক্রিকেটাররা। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।






এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ক্রিকবাজকে বলেন, আমরা এনসিএলে ডিউক বল ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের ক্রিকেটাররা যাতে এর সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে তাই এ সিদ্ধান্ত।






এসজি বল এবং ডিউক বলের পার্থক্য অনেক। দুই বলের আকার এবং সিমে বিস্তর ফারাক রয়েছে। ভবিষ্যতের ভাবনা থেকেই আমাদের ছেলেদের এখন থেকে ডিউক বলে খেলাব।
আগামী ১০ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়াবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের চলতি বছরের আসর। চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। সে লিগে প্রথম ডিউক বলে খেলবেন ক্রিকেটাররা।উল্লেখ্য, ডিউক, কোকাবুরা, এসজি— এই তিন বলই মূলত এখন ক্রিকেট শাসন করছে। ভারত ও বাংলাদেশে সব ধরনের ক্রিকেটে এসজি বল ব্যবহার করা হয়।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়েতে কোকাবুরা বলে ক্রিকেট খেলে। আর ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজে ডিউক বল সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে।সুইং সহায়ক পরিবেশে ডিউক বলের জুড়ি মেলা ভার। দ্বিতীয়ত এই বলের সিম এবং গুণগত মানও বাকি প্রতিযোগীদের তুলনায় বেশ ভালো।