





কলেজছাত্র মামুনকে বিয়ে করে খবরে আসা সেই শিক্ষিকার মৃত্যু দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি হত্যা করা হয়েছে- তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে স্থানীয়দের বক্তব্যে সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহের সৃষ্টি






করেছে।রোববার সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় এক ভাড়া বাসায় সেই শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ।তবে স্বামী মামুন দাবি, তিনি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু প্রতিবেশীরা বলছেন ভিন্ন কথা,






তারা জানায়, তারা মামুনের ডাকে ঘরে গিয়ে খাইরুন নাহরের লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।ওই ভবনের বাসিন্দা ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার ভোরে স্বামী মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানায় তার স্ত্রী খায়রুন নাহার শেষ রাতে গলায় ওড়না






পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের মরদেহ মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়।খাইরুনকে এমন অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন






এবং মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে রাখেন। পরে মামুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তদন্ত করবে।
তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে হত্যা আর আত্মহত্যা যাই হোক না কেন এমনটা ঘটলো কেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।জানা যায়, শিক্ষিকা খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার
চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে দুইজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাস পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।