‘অ্যালান বোর্ডার মেডেল’কে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হয়। অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিশেল স্টার্ক প্রথমবারের মতো অ্যালান বোর্ডার পদক জিতেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন স্টার্ক। ২০২১ সালে স্টার্ক অজিদের জন্য দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন। সদ্য শেষ হওয়া অ্যাশেজেও দারুণ বোলিং করেছেন তিনি।
বাঁহাতি পেসার ৫ টেস্টে ২৫.৩৬ গড়ে ১৯ উইকেট নিয়েছেন। তবে গত দুই বছরে মাঠের বাইরে কঠিন সময় পার করেছেন স্টার্ক। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টার্ক তার সংগ্রামের বর্ণনা দিয়েছেন। এমন একটি পরিস্থিতি ছিল যখন স্টার্ক খেলা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে স্টার্ক জানান, ‘গত দুই বছরে আমার জীবনে অনেক উত্থান-পতন এসেছে। তবে আমি হয়ত বিষয়টির সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছি। মানিয়ে নিতে পারার কারণ আমাকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার মত মানুষ সেই সময় আমার পাশে ছিল। অবশ্যই গত দুই বছরে এমন সময়ও এসেছে যখন আমি নিজের সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি, আবার এমন সময়ও এসেছে যখন আমি খেলাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম।’ তবে, কঠিন সময়ে যারা তার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্টার্ক। তিনি তার স্ত্রী অ্যালিসা হিলির সমর্থনের কথাও উল্লেখ করেছেন। হিলি নিজে অস্ট্রেলিয়ান মহিলা দলের হয়ে খেলছেন একজন ক্রিকেটার।
স্টার্ক জানান, ‘আমাকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া লোকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ থাকব। বিশেষ করে অ্যালিসার কথা বলতে হচ্ছে। সে নিজেও সর্বোচ্চ পর্যায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে যাচ্ছে। এত ব্যস্ততার মধ্যেও আমাকে সমর্থন যুগিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে অনেক ধন্যবাদ। তাছাড়া আমার অনেক বন্ধুরাও সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলছে, প্রতিনিয়ত তাদের সমর্থন এবং মতামত পাওয়াটাও দারুণ ছিল আমার জন্য।’
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ফিজিও ডেভিড বিকলিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্টার্ক। অ্যাশেজে পাঁচটি টেস্টেই স্টার্কের মাঠে নামতে পারার পেছনে বিকলির দারুণ সমর্থন ছিল বলেই জানিয়েছেন বাঁহাতি এই অজি পেসার। স্টার্ক জানান, ‘অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ দলের ফিজিও ডেভিড বিকলির একটি বিশাল ধন্যবাদ প্রাপ্য। তার সমর্থনের ফলেই পাঁচটি টেস্টেই (অ্যাশেজে) খেলার মত ফিট হতে পেরেছিলাম আমি।’
উল্লেখ্য যে, অ্যাশেজে দুই দলের মধ্যে একমাত্র পেসার হিসেবে পাঁচটি টেস্টেই খেলেছিলেন স্টার্ক।