




বিশ্ব ক্রিকেটে পাকিস্তানের রয়েছে দারুণ সোনালী ইতিহাস। অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলারদের দাপটের পর পাকিস্তানের ফাস্ট বোলারদেরও একটা সময় আসে।যেখানে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতারের





মতো ফাস্ট বোলাররা ছিলেন। সময়ের সাথে সাথে এর ক্রিকেট ছাড়াও অন্যান্য কার্যক্রম ক্রিকেট জগতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।২০০৯ সালের এই দিনে, এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল যা পাকিস্তান ক্রিকেটে অমার্জনীয় দাগ ফেলেছিল। চলুন জেনে





নিই পুরো খবরশ্রীলঙ্কা দল ৩ টেস্টের সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে এসেছিল। খেলা চলছিল সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। ম্যাচের তৃতীয় দিন শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি।সকালে শ্রীলঙ্কা দল তাদের টিম বাসে বসে মাঠে যাচ্ছিল। এরপর





হঠাৎ বাসে গুলির শব্দ। এর আগে খেলোয়াড়রা কিছু বুঝতে পারত। বাসের কাছে একটি গ্রেনেডও বিস্ফোরিত হয়।এটা যে সন্ত্রাসী হামলা তা বুঝতে কারোরই সময় লাগেনি। শ্রীলঙ্কা দলকে রক্ষায় নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মীরা পাল্টা গুলি চালাতে থাকে।





শ্রীলঙ্কা দলের ওপর হামলায় প্রাণ হারান ছয় পুলিশ সদস্য। কোনোভাবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পৌঁছাতে পারত শ্রীলঙ্কা দল।মৃত্যুর মুখ থেকে বেরিয়ে এল লঙ্কান ক্রিকেটাররা
শ্রীলঙ্কা দলের এই আক্রমণে অজন্তা মেন্ডিস, থিলান সামারাবিরা





এবং থারাঙ্গা পার্নাভিতানা সহ পাঁচজন খেলোয়াড় গুরুতর আহত হন। শ্রীলঙ্কার টিম বাসের পেছনে মিনিভ্যানে বসে থাকা ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।এতে ঘটনাস্থলেই মিনিভ্যানের চালকের মৃত্যু হয়। ভ্যানে বসা





আম্পায়ার এহসান রাজাও গুলিবিদ্ধ হন, তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।১৭ বছরে কেউ পাকিস্তানে আসেনি ভারতে ২৬/১১ হামলায় পাকিস্তানও জড়িত ছিল। লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের উপর এই আক্রমণ পাকিস্তানের কফিনে চূড়ান্ত পেরেক ঠেকিয়েছিল।
এই আক্রমণের কারণে, ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক পাকিস্তানের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এর পাশাপাশি বাকি আন্তর্জাতিক দলগুলোও পাকিস্তান সফরে অস্বীকৃতি জানায়।পাকিস্তানে ৬ বছর কোনো আন্তর্জাতিক
ম্যাচ খেলা হয়নি। ২০১৫ সালে, জিম্বাবুয়ে আক্রমণের পর পাকিস্তান সফরকারী প্রথম দল হয়ে ওঠে। ২০১৯ সালে, নিজের উপর আক্রমণের ১০ বছর পরে, শ্রীলঙ্কা দল আবার পাকিস্তান সফর করে এবং পাকিস্তানে টেস্ট ক্রিকেট ফিরে পায়