




আগের ১৫ ওয়ানডেতে কোনো ফিফটি ছিল না। সর্বোচ্চ ছিল ৩৮ (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে)। আজ ১৬ নম্বর ম্যাচে এসে প্রথম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ব্যাট





থেকে এসেছে ৫৮ রানের ইনিংস। অধিনায়ক তামিম ইকবাল (২৩), সাকিব আল হাসান (৮), লিটন দাস (৭), মুশফিকুর রহিম (১৬) ও আফিফ হোসেন (৯) কেউই উইকেটে বেশি সময় থাকতে পারেননি।





শুধু শান্ত আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই একটু বেশিক্ষণ ক্রিজে ছিলেন। তাই অনেকেরই মত, শান্তর ৮২ বলে সাজানো ইনিংসটি দীর্ঘ হলে বাংলাদেশের উপকার হতো। স্কোরলাইন আরও লম্বা





চওড়া হতো। শান্ত নিজেরও তা মনে হয়। খেলা শেষে তা অকপটে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যদি ইনিংস বড় করতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমাদের স্কোর ২৪০ -২৫০‘এ গিয়ে





ঠেকতো।’ শান্তর ক্যারিয়ারের এটা ১৬ নম্বর ওয়ানডে। ইংল্যান্ড টপ অর্ডার ডেভিড মালানও আজ ক্যারিয়ারের ১৬ নম্বর ওডিআই খেললেন। কিন্তু তার নামের পাশে আছে ৪ সেঞ্চুরি। সেখানে





শান্ত আজ প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন। তবে কি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ইনিংস বড় করে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরার সামর্থ্যটাই কম? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই। খেলা শেষে সংবাদ





সম্মেলনে আসা নাজমুল হোসেন শান্তকেও শুনতে হলো এ প্রশ্ন। শান্তর জবাব, ‘আজকে হয়তো ক্যারি করতে পারেনি, কিন্তু অতীতে আমাদের ব্যাটাররা ইনিংস বড় করে ম্যাচ জিতিয়েছে।





এমন না যে আমাদের ব্যাটাররা ইনিংস লম্বা করতে পারে না। অতীতে যদি দেখেন অবশ্যই অনেকের ভালো ভালো ইনিংস আছে যারা আমাদের ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছে। আজকে হয়নি,





আশা করব সামনে যেই এমন ইনিংস খেলবে চেষ্টা করবে বড় ইনিংস খেলার।’ ফিফটির পর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, এমনটাই ভাবছেন শান্ত। তার কথা, ‘ভালো একটা ইনিংস হয়েছে। এটা আমাকে





সামনের ম্যাচগুলোতে আত্মবিশ্বাস যোগাবে। মাত্র একটা ম্যাচ রান করলাম। এখনই আমার মনে হয় যে এটা বলা ঠিক হবে না যে, আমি অনেক কিছু শিখে গেছি। আজকের ম্যাচেও অনেক





ভুল ছিল আমার।’ সাকিব কেন চারে নামলেন না? মুশফিককে কেন চারে খেলানো হলো? এ প্রশ্নর জবাবে শান্ত বলেন, ‘মনে হয় ডান ও বাঁহাতি কম্বিনেশনের কারণেই সাকিব ভাই চারে





খেলেননি। মুশফিক ভাইকে চারে আর সাকিব ভাইকে ৫ ‘এ খেলানো হয়েছে।’