আইপিএলে দলবদলে শেষের দিকেই নেমেছে, আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজি। বেটিং কোম্পানির সঙ্গে লিঙ্ক খতিয়ে দেখার জন্য বোর্ডের ছাড়পত্র ঝুলে, ছিল সিভিসি ক্যাপিটালসের।
শেষ মুহূর্তে বোর্ডের সবুজ সংকেত পেয়ে, দল গঠনে নেমেই কেল্লাফতে করে আহমেদাবাদ। দারুণ মাস্টারস্ট্রোকে তুলে নেয় রশিদ খানকে। লখনৌ, ফ্র্যাঞ্চাইজি কেএল রাহুলের সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত করার পরে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে প্রায়, চূড়ান্ত করে ফেলে রশিদ খানকে। তবে দারুণভাবে লখনৌকে টেক্কা দিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা, টি২০ স্পিনারকে তুলে নেয় আহমেদাবাদ।
জানা যাচ্ছে, লখনৌ ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফ, থেকে রশিদ খানকে প্ৰথমে ১১ কোটি টাকা অফার করা হয়। ১৭ কোটি টাকায় লখনৌয়ের প্ৰথম সই ছিলেন, অধিনায়ক কেএল রাহুল। তবে আর্থিক প্রস্তাবে খুব বেশি খুশি ছিলেন, না আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার। সেই সময়েই রশিদকে পেতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আহমেদাবাদ।
আহমেদাবাদ প্ৰথমে হার্দিক পান্ডিয়াকে ১৫ কোটি, টাকায় রাজি করায়। তারপরে একই অঙ্কে রশিদ খানকেও সই করিয়ে চমক দেয় তারা। রশিদ, খানের এক ঘনিষ্ট ইনসাইড স্পোর্টসকে জানিয়েছেন, “রশিদ খানের জন্য সেরা চুক্তি, চেয়েছিলাম আমরা।
এই মুহূর্তে ও-ই বিশ্বের সেরা। ভারতীয়, এবং বিশ্বের সেরা তারকাদের পারিশ্রমিক হিসাবে আর্থিক সম্মান দেওয়ায় আহমেদাবাদে ও সই করে। তাছাড়া, আহমেদাবাদ দল পেশাদারিত্বের সঙ্গে পুরো বিষয়টা সামলেছে।”
আইপিএলে তিন তারকাকে রিটেন করার জন্য, মূল্য বেঁধে দেওয়া হয়েছিল যথাক্রমে ১৫ কোটি, ১১ কোটি এবং ৭ কোটি টাকা। তবে আহমেদাবাদ খুব, কুশলী চালে দুজনকেই ১৫ কোটিতে সই করিয়ে নেয়।
তৃতীয় ক্রিকেটারের কোটায় আহমেদাবাদ, সই করিয়েছে কেকেআর ছেড়ে আসা শুভমান গিলকে, ৮ কোটি টাকায়। এর অর্থ নিলামে আহমেদাবাদের, হাতে পরে5 রয়েছে মাত্র ৫২ কোটি টাকা।
আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির নেতা হচ্ছেন, এবার হার্দিক পান্ডিয়া। খারাপ ফর্ম এবং ইনজুরির কারণে মুম্বই রিলিজ করে দিয়েছিল তারকাকে।
এই প্ৰথমবার কোনও আইপিএল দলকে, নেতৃত্বে দিতে দেখা যাবে তাঁকে। নিলামের আগেই ওপেনার, অলরাউন্ডার এবং স্পিন বিভাগকে মজবুত, করে নিয়েছে আহমেদাবাদ।
প্রথম মরশুমে আশিস নেহরা আহমেদাবাদ, দলের হেড কোচ হচ্ছেন। গ্যারি কার্স্টেন মেন্টর এবং বিক্রম সোলাঙ্কি টিম ডিরেক্টর এবং ব্যাটিং কোচের, ভূমিকা পালন করবেন। স্পিন বোলিং কোচ হচ্ছেন আশিস কাপুর।