ইকুয়েডরের হয়ে ৬ নম্বর জার্সি পরে খেলেন কাস্তিলো অ- অ অ+ নভেম্বরে কাতারে বসছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে চতুর্থ দল হিসেবে সরাসরি






বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে ইকুয়েডর। তবে বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের খেলা নিয়ে ফের তৈরি হয়েছে শঙ্কা। ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার বাইরন কাস্তিলোকে ‘অযোগ্য’ খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য করে ফিফার






কাছে নালিশ করেছিল চিলি। বিজ্ঞাপন ফিফা চিলির সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেও এবার নতুন শঙ্কায় পড়েছে ইকুয়েডর। লাতিন অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার পর ফিফার কাছে






ইকুয়েডরের ফুটবলার কাস্তিলোর জন্ম সনদে ভুয়া তথ্য দেওয়ার অভিযোগ করেছিল চিলি। নানা তথ্য-প্রমাণ দায়ের করে চিলি কিন্তু ফিফার কাছে তা প্রমাণিত হয়নি। ফলে খারিজ করে দিয়েছিল






বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। কিন্তু নতুন তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আরও শক্ত প্রমাণ, যার ফলে এখন বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কায় ইকুয়েডর। চিলির দাবি ছিল, বায়রন কাস্তিলোর জন্মসনদ






ভুয়া। ইকুয়েডরের জন্মসনদের নথিপত্রে কাস্তিলোর আঙুলের ছাপ নেই। ইকুয়েডরের সিভিল রেজিস্ট্রি অফিস এবং ফুটবল ফেডারেশন মিলে এই জালিয়াতি করেছে। কাস্তিলোর জন্ম কলম্বিয়ার
তুমাকোয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের দাবি, কাস্তিলোকে নিজেদের দলে খেলানোর জন্য সত্যকে ধামাচাপা দিয়েছে ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন। বেআইনিভাবেই কাস্তিলোকে
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোতে খেলিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার বায়রন কাস্তিয়োর বিষয়ে রায় দেবে ফিফার আপিল কমিশন। তার আগে ফিফার তদন্তে উঠে আসা কাস্তিয়োর জন্মসনদ জালিয়াতির
বিষয়টি ফাঁস করেছে মেইল অনলাইন। কাস্তিয়োর জন্ম ইকুয়েডর না কলম্বিয়ায়-এটাই ছিল তদন্তের মূল বিষয়। তদন্ত কমিশনের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাস্তিলো স্বীকার করেন যে, তাঁর
জন্ম কলম্বিয়ায়। কাস্তিলো জানান, তাঁর জন্মসাল ১৯৯৫। কিন্তু ইকুয়েডরিয়ান জন্ম সনদে তার জন্ম ১৯৯৮ সালে। কাস্তিলোর কলম্বিয়ান জন্ম সনদে নাম দেওয়া রয়েছে বায়রন হাভিয়ের কাস্তিলো
সেগুরা। কিন্তু ইকুয়েডরিয়ান জন্ম সনদে নাম বায়রন ডেভিড কাস্তিলো সেগুরা। ফুটবল ক্যারিয়ার গড়তে কলম্বিয়ার তুমাকো ছেড়ে ইকুয়েডরের সান লরেঞ্জোয় যাওয়ার বিষয়েও অনেক কথা
বলেছেন কাস্তিলো। ইকুয়েডরে যে ব্যবসায়ী কাস্তিলোকে নতুন নাম দিয়েছিলেন, তাকে চেনার কথা সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন কাস্তিলো। মেইল অনলাইন জানিয়েছে, কাস্তিয়োর সবকিছু
স্বীকার করার অডিও ফাইল আছে তাদের কাছে। চিলির এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে, ইকুয়েডরের হয়ে কাস্তিলো বাছাইপর্বে যে ৮ ম্যাচ খেলেছেন, তার সবগুলোতেই পয়েন্ট কাটতে পারে ফিফা।
কাস্তিলোর খেলা ৮ ম্যাচে ইকুয়েডর পেয়েছে ১৪ পয়েন্ট। এই পয়েন্টগুলো হারালে কাতার বিশ্বকাপে খেলা হবে না দেশটির। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ বাছাই শেষ করেছিল চিলি।
একুয়েডরের বিপক্ষে দুই ম্যাচের পয়েন্ট চিলিকে নিয়ে যেতে পারে কাতার বিশ্বকাপে।