শোকাহত পুরো ক্রিকেটবিশ্ব না ফেরার দেশে চলে গেলেন আশরাফুল

বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক সময়কার অতি পরিচিত মুখ আশরাফুল । বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক বিশ্বের সব বড় বড় দলের বিপক্ষে জয়ের একমাত্র সাক্ষী। ফিক্সিংয়ের পরে নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে জাতীয়

দলের ঢোকার আর কোনো সুযোগই পাননি এই সাবেক অধিনায়ক। আর জাতীয় দলের আশাটাও তিনি শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেন। এর মধ্যে এবার অবসরে যাচ্ছেন এই ক্রিকেটার।‘তোমাকে সাকিব (সাকিব আল হাসান) বলেছে মোহামেডানে

খেলতে’—শেষ দিনের দলবদলে আসা মোহাম্মদ আশরাফুলকে এমনটাই বলেছিলেন ক্লাবটির শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা। কিছুক্ষণ পর সেখানে উপস্থিত সাকিবও। নিজে দলবদলে অংশ নেওয়ার আগে আশরাফুলকে পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন তিনি।

কিছু সময়ের আলাপের পারিবারিক খোঁজ-খবরও নিলেন তারা।এবারের ডিপিএল শেষে ঘরোয়া ক্রিকেটের ৫০ ওভার সংস্করণ থেকে বিদায় নেবেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল। ক্যারিয়ারের শেষ মৌসুম বড় ক্লাবে খেলার

ইচ্ছে থেকেই ব্রাদার্স ইউনিয়ন থেকে মোহামেডানে নাম লেখান তিনি। দলবদল প্রক্রিয়া শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমার ইচ্ছে এ বছর খেলে ঢাকা লিগ শেষ করে দেব। আমি চাচ্ছিলাম বড় দল থেকেই (অবসর)…। যেহেতু আমি এ দলটার

(মোহামেডান) সমর্থক।’ডিপিএলের পর চার দিনের ক্রিকেটকেও বিদায়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন আশরাফুল। জাতীয় লিগের আগামী মৌসুমে শেষবারের মতো সাদা পোশাকে দেখা যেতে পারে ৩৮ বছর বয়সী এ ব্যাটারকে। তিনি বলেন, ‘এটা

আমার শেষ প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম। এনসিএল-বিসিএল থেকেও দ্রুত অবসরে যাব।’দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলেছিলেন আশরাফুল। এরপর ফিক্সিং থাবায় ৫ বছর সব ধরনের ক্রিকেটে ছিলেন নিষেধাজ্ঞা। ফেরার পর

থেকে জাতীয় দলে খেলার চেষ্টা করলেও পারফর্ম করতে না পারায় সুযোগ হয়নি তার। সে সুযোগ নিশ্চিয়ই দেখেন না আশরাফুলও। তাই ধীরে ধীরে পেশাদার ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *