পারফরমার হিসেবে তিনি সবার সেরা। ব্যাট ও বলে চৌকস পারফরমার সাকিবের ধারে কাছে নেই কেউ। টিম বাংলাদেশের পক্ষে তার অর্জন, কৃতিত্ব ও সাফল্যও যে কারো চেয়ে অনেক বেশি।






ম্যাচ জেতানোর দক্ষতায় টাইগারদের মধ্যে সাকিব অনন্য। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের পারফরমারদের পক্ষে সবচেয়ে বেশিবার






ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছেন সাকিব। এ নন্দিত ক্রিকেটারকে নিয়ে বিতর্কও কম নয়। খেয়ালি, হেঁয়ালি আর অখেলোয়াড়োচিত আচরণ এবং বারবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনায় ক্রিকেটার সাকিব






দিনকে দিন হয়ে উঠেছেন বিতর্কিতও। তাই তাকে অধিনায়ক করা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকরা তো বলছেনই, কিছু নিরপেক্ষ ক্রিকেট অনুরাগীও প্রশ্ন তুলেছেন, যত বড়






মাপের ক্রিকেটারই তিনি হোন- আর তার অর্জন, কৃতিত্ব ও সাফল্য যত আকাশছোঁয়াই হোক না কেন, সাকিব এখন বিতর্কিত এক ক্রিকেটারের নাম। এমন এক বিতর্কিত পারফরমারকে জেনে






শুনে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হলো কেন? বিসিবির অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা, পরিচালক এবং জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন ক্রিকেট অনুরাগীদের সে প্রশ্নের জবাব






দিয়েছেন। জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টরের অনুভব-উপলব্ধি, সাকিবই সেরা বিকল্প। তাই বোর্ড জেনেবুঝে তার কাঁধেই টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব অর্পণ করেছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সরিয়ে






সাকিবকে অধিনায়ক করার কারণ ব্যাখ্যা করে জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সাকিবের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। সে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগও খেলেছে বেশি। সঙ্গে
তার পারফরমেন্সটাও অনেক বেশি উজ্জ্বল ও কার্যকর। তাই সব মিলিয়ে সাকিবকেই সেরা পছন্দ বলে মনে হয়েছে।’ সুজনের ব্যাখ্যা, ‘রিয়াদের সাথেও কথা হয়েছে সাকিবের সাথেও কথা হয়েছে।
আমি যেহেতু এখন দলের সাথে জড়িত, কথাতো হবেই। কথা না বলার কিছু নাই। বোর্ডের একটা অবস্থান ছিল যে সাকিব যেহেতু এই ফরম্যাটে বেশি অভিজ্ঞ, ওর অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার
অভিজ্ঞতা আছে। ওর পারফরম্যান্স সব মিলিয়ে আমাদের মনে হয়েছে সেই-ই সেরা পছন্দ সত্যি কথা বলতে গেলে।’ সুজন বোঝানোর চেষ্টা করেন, বিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা কেউ সাকিব আর
রিয়াদ আলাদা চোখে দেখেন না। তাদের কাছে দু’জনই সমান। এ কারণে সুজনের কথা, ‘বিষয়টা এমন না যে রিয়াদ খারাপ, তবে হয়তো রিয়াদের চেয়ে সাকিবকে সেরা বিকল্প মনে হয়েছে। দিন
শেষে আমরা সবাই বিসিবিতে কাজ করি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ভালো করার জন্য। এখানে আমাদের কোনো স্বার্থ নেই, সাকিবও আমার কিছু না রিয়াদও আমার কিছু না। বলতে গেলে আমাদের
সতীর্থ ক্রিকেটার, হয়তো আমরা সিনিয়র ওরা জুনিয়র। ওরা এখনো খেলতেছে, আমরা ওদের সাথে কাজ করি, আমরা চাই বাংলাদেশ দলের সাফল্য। সাফল্যটা কিভাবে আসবে কার হাত
ধরে আসবে আমরা জানি না। মনে হয়েছে সাকিব