




শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগেও (বিসিএল)। এই আসরের আজকের ম্যাচে উইকেটে খানিকটা ঘাস থাকলেও পুরো দিনে ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন বাঙ্গালদেশ টেস্ট দলের অন্নতল





তারকা ওপেনার সাদমান ইসলাম। দলের অন্যতম তারকা বোলার আবু হায়দার রনির তিন এবং দলের পার্টটাইম বোলার সৌম্য সরকারের দুই উইকেট পাওয়ার দিনে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার ব্যাটিংয়ে





১৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিয়ান টাইগারদের অন্যএক ব্যাটার ফজলে মাহমুদ রাব্বি। তাদের দুজনের ব্যাটে বিসিএলের





তৃতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনে বিসিবি সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৮১ রান তুলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাউথ জোন। অন্যদিকে বগুড়ার শহিদ চান্দু স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে





বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন সাউথ জোনের অধিনায়ক শুভাগত হোম। ইনিংসের প্রথম বলেই অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন আবু হায়দার। পিনাক ঘোষকে আব্দুল মজিদের হাতে ক্যাচ বানিয়ে





সেন্ট্রাল জোনকে দারুণ শুরু এনে দেন বাঁহাতি এই পেসার। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন এনামুল হক বিজয় ও সাদমান। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৯ রান। থিতু হওয়া





বিজয় সাজঘরে ফেরেন রান আউটে কাটা পড়ে। মোহাম্মদ শরিফুল্লাহর বলে এক্সট্রা কভারে ঠেলে দিয়ে রান নিতে গিয়ে রান আউট হন ৩৭ বলে ২৩ রান করা বিজয়। এরপর অমিত হাসানকে সঙ্গে





নিয়ে সেন্ট্রাল জোনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন সাদমান। দলের রান একশ হওয়ার আগে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। শুভাগতর বলে লং অন দিয়ে চার মেরে ৮৮ বলে হাফ





সেঞ্চুরি করেন তিনি। অমিতের সঙ্গে সাদমানের জমে ওঠা ৮১ রানের জুটি ভাঙেন রাকিবুল হাসান। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে শর্ট থার্ডম্যানে থাকা আরিফুলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৮৭ বলে





৩০ রান করা অমিত। ফজলে রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাদমান। শরিফুল্লাহর বলে লং অফ দিয়ে চার মেরে ১৮৬ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। সাদমানের সেঞ্চুরির পর





১৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ফজলে মাহমুদ। যদিও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার ওভারেই আউট হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সৌম্যর বলে উইকেটের পেছনে থাকা জাকের আলী অনিককে





ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৫০ রান করা ফজলে মাহমুদ। ছয়ে নেমে ইনিংস বড় করতে পারেননি ইমরান উজ জামান। আবু হায়দারের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন তিনি।





নিজের পরের ওভারে নাহিদুল ইসলামকে জাকেরের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সৌম্য। সেন্ট্রাল জোনকে এদিন বড় রানের স্বপ্ন দেখানো সাদমানকে আউট করেন আবু হায়দার। বাঁহাতি এই





পেসারের বলে বোল্ড হয়েছেন ১৩০ রান করা সাদমান। শেষ বিকেলে সেন্ট্রাল জোনকে উইকেট হারাতে দেননি নাসুম আহমেদ ও সুমন খান। সংক্ষিপ্ত স্কোর: বিসিবি সেন্ট্রাল জোন- ২৮১/৭





(৯০ ওভার) (সাদমান ১৩০, ফজলে রাব্বি ৫০, অমিত ৩০; আবু হায়দার ৩/৪০, সৌম্য ২/১৭)