




ফুটবলে ফুটবলার কর্তৃক রেফারিদের মারধর করার নজির ভূরি ভূরি। সিদ্ধান্ত বিপক্ষে গেলে মেজাজ হারিয়ে ফুটবলাররা প্রায়শই রেফারিদের ওপর চড়াও হয়ে থাকেন। তাই বলে একটা দলের





নারী ফুটবলাররা দল বেঁধে এভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় রেফারিকে মারপিট করা! সম্প্রতি কঙ্গোর নারী ফুটবল লিগে মোতেমা পেম্বে ও টিপি মাজেম্বের মধ্যকার ম্যাচে যেভাবে রেফারিকে





মারপিট করা হয়েছে, এমন ঘটনা সত্যিই বিরল। একটা পেনাল্টির আবেদন আমলে না নেওয়ায় মেরে রেফারির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন মোতেমা পেম্বের নারী ফুটবলাররা।ম্যাচে তখন





মোতেমা পেম্বে ১-৫ গোলে পিছিয়ে। লজ্জাজনক হারের মুখে এমনিতেই মাথা গরম ছিল মোতেমা পেম্বের ফুটবলারদের। এর মধ্যে রেফারি মোতেমা পেম্বের একটা পেনাল্টির আবেদন





নাকচ করে দেন। এমনকি রেফারি ভিডিওও দেখেননি। ব্যস, আর যান কোথায়। সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধংদেহি মনোভাবে রেফারির দিকে তেড়ে যান মোতেমা পেম্বের নারী ফুটবলাররা। বিপদ বুঝে





রেফারি জীবন বাঁচাতে প্রাণপণ দৌড়ে মাঠ পেরিয়ে ডাগআউটের পেছন দিয়ে এক তাবুতে আশ্রয় নিয়েও রেহাই পাননি। এমনকি সেখান থেকে কোনো রকমে নিজেকে ছাড়িয়ে দৌড়ে টানেলে





গিয়েও রক্ষা পাননি রেফারি। দৌড়াতে দৌড়াতে পরে যান বেচারা রেফারি। সঙ্গে সঙ্গেই তার ওপর পড়তে থাকে কিল-ঘুষি, লাথি বৃষ্টি। শুধু তো ফুটবলাররাই নন, তাদের সঙ্গে রেফারি





মারপিটে শরিক হন মোতেমা পেম্বের সাপোর্ট স্টাফের সদস্যেরও কেউ কেউ। বিস্ময়কর হলো, মোতেমা পেম্বের খেলোয়াড়রা দল বেধে রেফারিকে এভাবে মেরে কাঠাল পাকা করলেও





প্রতিপক্ষ টিপি মাজেম্বের খেলোয়াড়রা কিছু করেননি, নীরব দর্শক হয়ে মজা দেখেছেন! অনেকটা সময় পরে অবশ্য টিপি মাজেম্বের খেলোয়াড়দের দুই-এক জন ও নিরাপত্তা কর্মীরা এগিয়ে





এসে রেফারিকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান। ন্যক্কারজনক এই ঘটনার দ্রুতই তদন্ত করে এরই মধ্যে মোতেমা পেম্বের খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক





যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে। কেউ কেউ তো মোতেমা পেম্বের নারী দলটিকে পুরো নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন।