বিশ্বকাপ মিশন শুরুর আগে বাংলাদেশের ওপেনিং সংকট বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারই নিজেকে প্রমাণ করতে পারছেন না।






সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবালের অবসরের পর ওপেনিং জুটি নিয়ে বেশি কথা হচ্ছে। এশিয়া কাপ কিংবা ত্রিদেশীয় সিরিজে ওপেনিং জুটি নিয়ে বারবার এক্সপেরিমেন্ট চালিয়েও






ফল আসছে না। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছিলেন সাব্বির রহমান। মেহেদী মিরাজের সঙ্গে কয়েকটা ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে খেলেছিলেন। তবে আস্থা রাখতে পারেননি। খারাপ ফর্মের দরুণ দল থেকেই






বাদ পড়ে গেছেন। বলা যাচ্ছে, ওপেনিংয়ে অস্বস্তি নিয়েই বিশ্বকাপ শুরু করবে বাংলাদেশ। তবে সাবেক তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল মনে করেন, বয়সের বাধা না থাকলে ইমরুল






কায়েস ওপেনিংয়ে আস্থার নাম হতে পারতেন। সময় সংবাদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাব্বিরের দলে অন্তর্ভুক্তি এবং ইমরুল কায়েস প্রসঙ্গে কথা বলেন আশরাফুল। তিনি বলেন, সাব্বিরকে দলে
নেয়াটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমার মনে হয় তার অতীত রেকর্ড কিছুটা ভালো ছিল, ভালো মারতে পারত। ফিল্ডিংটাও ভালো পারে। সে কারণেই দলে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এভাবে তো আর হয় না। তবে
এটাও মনে করেন তিনি, সাব্বির টেলেন্টেড ক্রিকেটার। তিনি বলেন, সে এবং সৌম্য অবশ্যই কোয়ালিটি ক্রিকেটার। তাদের বেসিকটাও স্ট্রং। বিদেশি কোচরাও এ ধরনের ক্রিকেটারদের পছন্দ
করে। তারা এসে যখন রেকর্ড দেখে, তখন এমন ক্রিকেটারদের দলে চায়। এ ছাড়া ওদের এখনো বয়স আছে। তাই গুরুত্ব পাচ্ছে। তা না হলে ইমরুল কায়েসকে নেয়া যেত। কেন ইমরুলকে নেয়া
হলো না এমন প্রশ্নে আশরাফুল বলেন, হয়তো বয়সের কারণে সে সুযোগটা পাচ্ছে না। সে দলে থাকলে এখন যে ওপেনিংয়ে সমস্যাটা হচ্ছে, এটাও হয়তো থাকত না। আমাদের দেশে বয়সটাকে বড়
করে দেখা হয়। কিন্তু আপনি যদি অন্যান্য দেশের দিকে তাকান, দেখবেন তারা এসব বিবেচনায় নেয় না। এ ছাড়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে বলেন, বিশ্বকাপের মূলপর্বে এখন পর্যন্ত
আমাদের একটামাত্র জয়– ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এবার একটা সম্ভাবনা আছে, আশা করি দুটি ম্যাচে জয় পাব, ইনশাআল্লাহ। ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও আমাদের প্রতিপক্ষ
নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ে। দুটি ম্যাচ অন্তত জয়ের আশা রাখি। ২০১৯ সালের শেষদিকে ভারত সফরের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের জার্সিতে শেষবার দেখা গিয়েছিল ইমরুলকে। টাইগারদের হয়ে তিনি
সাদা বলের দুই সংস্করণের ক্রিকেটে খেলেছিলেন আরও আগে। তার শেষ ওয়ানডে ছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং শেষ টি-টোয়েন্টি ছিল ২০১৭ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।