




১১ জনের দলে ৭ জনই বাঁহাতি! সাধারণত দেখা যায় না। ৩-৪ জন, সর্বোচ্চ ৫ জন দেখা যায়। কিন্তু আজ বুধবার শেরে বাংলায় বাংলাদেশের হয়ে ইংল্যান্ডের সাথে ব্যাট করেছেন ৭ বাঁহাতি





ব্যাটার-তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান। এটুকু পড়ে নিশ্চয়ই ভাবছেন, এটা বুঝি





একটা রেকর্ড। এক ম্যাচে এতগুলো বাঁহাতি খেলে নাকি? তা খেলে না। অন্য কোনো দলের হয়ে খেলেওনি কখনও। হ্যাঁ, এক ওয়ানডেতে সর্বাধিক বাঁহাতি ব্যাট করার এটি রেকর্ড। তবে এক ম্যাচে





৭ বাঁহাতি নিয়ে মাঠে নামার রেকর্ড এটাই প্রথম নয়। এবার নিয়ে সপ্তমবার বাংলাদেশ ৭ বাঁহাতি দিয়ে একাদশ সাজিয়ে ওয়ানডে খেলতে নামলো। এর আগে আরও ৬ বার বাংলাদেশ একাদশে





ছিলেন ৭ বাঁহাতি ব্যটার। প্রথমবার বাংলাদেশের হযে ৭ বাঁহাতি ব্যাটার তামিম ইকবাল, শাহরিয়ার নাফীস, জুনায়েদ সিদ্দিকী, সাকিব আল হাসান, মোশাররফ হোসেন রুবেল, আব্দুর রাজ্জাক





ও সৈয়দ রাসেল ব্যাট করেন ২০০৮ সালের মার্চে চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তিন বছর পর ২০১১ সালের মার্চে সেই চট্টগ্রামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচে দ্বিতীয়বার





একাদশে ৭ বাঁহাতি ছিলেন বাংলাদেশ দলে। সে ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম ৫ জন ছিলেন তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, জুনায়েদ সিদ্দিকী, শাহরিয়ার নাফীস ও সাকিব





আল হাসান। ব্যাট করেননি তবে তারপর লাইনআপে ছিলেন আরও দুই বাঁহাতি আব্দুর রাজ্জাক আর সোহরাওয়ার্দী শুভ। এরপর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ





চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আবার ৭ বাঁহাতি ব্যাটারকে (তামিম, শান্ত, সাকিব, সৌম্য, সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজ ও তাসকিন) নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ । এছাড়া ২০২১ সালের





মে মাসে শেরে বাংলায় শ্রীলঙ্কার সাথে একাদশে ছিলেন ৭ বাঁহাতি ব্যাটার (তামিম, সাকিব, আফিফ, সাইফউদ্দিন, তাসকিন, মোস্তাফিজ ও শরিফুল)। তিনদিন পর লঙ্কানদের বিপক্ষে আবার





৭ বাঁহাতি (তামিম, নাইম শেখ, সাকিব, আফিফ, তাসকিন, শরিফুল ও মোস্তাফিজ ) খেলেন বাংলাদেশের পক্ষে। আজকের আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে প্রভিডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে





ষষ্ঠবারের মত ৭ বাঁহাতিকে (তামিম, শান্ত, আফিফ, তাসকিন, নাসুম, শরিফুল ও মোস্তাফিজ) নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ।