




ম্যাচটা ছিল পরশু আর্জেন্টাইন ফুটবলে চতুর্থ বিভাগের। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ দল ক্লেপোলের মুখোমুখি হয়েছিল দ্বিতীয় দল দেপোর্তিভো লিনিয়ার্স। কিক অফের সময় পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন





লিনিয়ার্সের সেন্টার ফরোয়ার্ড হুলিয়ান রদ্রিগেজ সেগুয়ের। রেফারি খেলা শুরুর বাঁশি বাজাতেই ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড এমন এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন, যা নিয়ে হইচই পড়েছে আর্জেন্টিনার





সংবাদমাধ্যমে।আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘লা নাসিওন’ জানিয়েছে, রেফারি নিকোলাস ক্রেস্তা ক্লেপোলের মাঠে খেলা শুরুর বাঁশি বাজাতেই বলটা ছুঁয়ে পাশ থেকে সরে যান সেগুয়েরের এক





সতীর্থ। বলের ঠিক পেছনে একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা সেগুয়ের খেয়াল করেছিলেন, স্বাগতিক দলের গোলকিপার এরোস দে লুকা নিজের পজিশন থেকে বেশ সামনে এগিয়ে এসেছেন। সুযোগটা





নেন সেগুয়ের। কিক অফের জায়গায় বলটা থাকতেই শট নেন। বল বাতাসে ভাসতে ভাসতে যখন ক্লেপোল গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে। এমন গোল ফুটবলে নতুন কিছু





নয়। তবে সেগুয়ের যে সময়ে গোলটি করেন, তা নিয়েই আলোচনা চলছে। ম্যাচ শুরুর মাত্র ৪ সেকেন্ডে গোল! লা নাসিওন দাবি করেছে, আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে এটাই নাকি দ্রুততম





গোল। সেগুয়েরের ওই গোলেই শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানে জিতেছে লিনিয়ার্স। লা নাসিওন জানিয়েছে, ৪ সেকেন্ডে করা গোলটির মাধ্যমে ১৯৭৯ সালে আর্জেন্টিনার ফুটবলে প্রথম বিভাগে





কার্লোস ডানটন সেপ্পা কুয়েরচিয়ার রেকর্ড ভেঙেছেন সেগুয়ের। সে বছরের ১৮ মার্চ এসগ্রিমা লা প্লাতার বিপক্ষে হিমনাশিয়ার হয়ে ম্যাচের ৫ মিনিটে গোল করেছিলেন সেপ্পা কুয়েরচিয়া।





তবে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ওলে’র মত ভিন্ন। আর্জেন্টিনার ফুটবলে দ্রুততম গোলের রেকর্ডটি সেগুয়েরের একার বলে মনে করছে না ওলে। ৪ সেকেন্ডে গোল করে ১৯৯৬ সালে





আকাসুয়োসোর হয়ে লুইস তোরেসের গড়া রেকর্ডটি সেগুয়ের ভাগ করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে এই সংবাদমাধ্যম। আর্জেন্টিনার টিভি চ্যানেল ও সংবাদমাধ্যম ‘টিএনটি স্পোর্টস’ও





জানিয়েছে, সেগুয়ের লুইস তোরেসের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন।লা নাসিওন জানিয়েছে, পেশাদার ফুটবলের ইতিহাসে দ্রুততম গোলের রেকর্ডটি সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের সাবেক





খেলোয়াড় নওয়াফ আল আবেদের। ২০০৯ সালের ৭ নভেম্বর প্রিন্স ফয়সাল অনূর্ধ্ব-২১ টুর্নামেন্টে আল-শুল্লার বিপক্ষে ২.৩ সেকেন্ডের মাথায় গোল করেছিলেন বর্তমানে আল শাবাব ক্লাবে





খেলা এ মিডফিল্ডার। তবে এর চেয়েও কম সময়ে গোলের নজির আছে। ২০১৭ সালে স্কটিশ ফুটবলে জুনিয়রদের নন-লিগ ম্যাচে ২.১ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন গ্যাভিন স্টোকস। ২.২ সেকেন্ডে





গোলের নজিরও জুনিয়র ফুটবলে। সেটি সার্বিয়ায় ২০১২ সালে, গোলটি করেছিলেন ভুক বাকিচ।